Pages

Monday, 1 July 2019

বাংলায় সাম্প্রদায়ীক উন্মাদনা প্রতিরোধে দলিত-আদিবাসী কর্মশালাঃ হাত বাড়ালেন ঈদগাহ কমিটি



একটি প্রতিবেদন
শরদিন্দু উদ্দীপন
পরিচালক, জয় ভীম ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক


সাম্প্রদায়ীক শক্তির বাড়বাড়ন্ত দেখে, মানবতার চরম অপমান দেখে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পরিশেষ কাব্যে ‘ধর্মমোহ” নামক কবিতায় লেখেন;     

“ধর্মের নামে মোহ যারে এসে ধরে
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।
নাস্তিক সেও পায় বিধাতার বর,
ধার্মিকতার করে না আড়ম্বর।
শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,
শাস্ত্র মানে না, মানে মানুষের ভালো”।     


ভারত বিভাজনের আগে যে উন্মাদেরা অবিভক্ত বাংলার আকাশ, বাতাস এবং পরিবেশকে বিষাক্ত করেছিল, যে ধর্ম উন্মাদনা ছড়িয়ে দেশকে শ্মশান-গোরাস্থানে পরিণত করেছিল তা আজ আরো করাল আকার ধারণ করে সমগ্র ভারতের ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাতপাতের ভেদ ভাব। কেন্দ্রে এক মনুবাদী সরকার কায়েম হওয়ার পরে এই উন্মাদনা এক ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের আকার ধারণ করে কেড়ে নিচ্ছে রোহিত, নাজিব, মুথু কৃষ্ণান, পায়েল তাড়ভি, ওঙ্কার বারিদাবাদের মত প্রতিভাবান গবেষকদের প্রাণ। অসহিষ্ণুতার হিংশ্র বুলেট থামিয়ে দিচ্ছে, দাভলকর, কালবুর্গী, পানসারে এবং গৌরী লঙ্কেশদের প্রতিবাদী কলম। ধর্মের, গোরক্ষার নামে খুন করা হচ্ছে আকলাখ, জুনায়েদ, আফরাজুল এবং তাবরেজকে। নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করা হচ্ছে আসিফা, সুলতানা, কুশমণ্ডির আদিবাসী বোন তথা এসসি এসটি ওবিসি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু নারীদের।

Sunday, 28 April 2019

বহুজন উত্থান এবং অনন্য কাঁসিরামঃ




বিএসসি পাশ করে কাঁসিরাম ডিআরডিওর অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট হিসেবে মিলিটারী অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করছিলেন। মিস্টার দিনা ভানা ছিলেন এই ফ্যাক্টরির একজন দলিত নেতা।তিনি রাজস্থানের মানুষ। ১৯৫৭ সালে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির ম্যানেজমেন্ট ছুটির তালিকা থেকে বাবা সাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন এবং বুদ্ধের জন্মদিন বাদ দেয়। পরিবর্তে তিলকের জন্মদিন এবং দেওয়ালীকে ছুটির তালিকায় ঢোকান হয়। প্রতিবাদে সরব হন দিনা ভানা। ম্যানেজমেন্ট তাঁকে সাসপেন্ড করে। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন দলিত সহযোদ্ধারা। শুরু হয় লাগাতার আন্দোলন। শক্ত হাতে এই আন্দোলন পরিচালনা করতে এগিয়ে আসেন কাঁসিরাম। ফল স্বরূপ বাবা সাহেবের জন্মদিন এবং বুদ্ধের জন্মদিনকে আবার ছুটির দিন হিসেবে মেনে নিতে হয় এবং দিনা ভানাকে সসম্মানে পুনর্বহাল করতে বাধ্য হয় ম্যানেজমেন্ট

Saturday, 9 March 2019

#প্রসাদান্ন_আফিং_গদিমিডিয়া এবং #বদহজম



ইদানিং মোদির অপদার্থতা, দুষ্কর্ম, জুমলাবাজির সমালোচনা করলেই কিছু পরভোজী ফেকু দেশপ্রেমী পাকিস্তান, মুসলমান এবং পাথরবাজ কাশ্মীরি বলে চেঁচাতে শুরু করছে!! পাকিস্তানের সদর্থক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করলে তাঁকে পাকিস্তান পন্থী, পাকিস্তানের দালাল, দেশদ্রোহী, ইত্যাদি উপাধিতে ভরিয়ে দিচ্ছেন !! যে শহীদের পরিবার সন্তান, স্বামী, ভাই হারিয়ে যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে মত দিচ্ছে তাদেরকে নানা ভাবে হেনস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সৈনিকের বিধবা স্ত্রীকে পর্যন্ত ধর্ষণের ধমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। দেশপ্রেমের এমন নজির স্থাপন করছে কয়েকটি সংগঠন যারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্রিটিশের দালালী করেছে, হিটলার, মুসোলিনীকে সমর্থন করেছে এবং দেশের সাথে বেইমানী করেছে !!

Monday, 11 February 2019

খাস বালান্দা বুদ্ধ বিহার এখন লাল মসজিদ নামে পরিচিত



ইউরেকা !!!
এমন কিছু তথ্যের সন্ধানে আমি ছিলাম যা খুঁজে পেতে আবার চন্দ্রকেতু গড়ে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে গেলাম বেড়াচাঁপা থেকে ডান দিকে হাড়োয়ায় । আসতে আসতে অদ্ভুত ভাবে চোখে পড়েছে রাস্তার দুপাশে পীর গোরাচাঁদের নামে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। যেমন পীর গোরাচাঁদ বস্ত্রালয়, পীর গোরাচাঁদ হোটেল, পীর গোরাচাঁদ স'মিল, পীর গোরাচাঁদ ভবন, পীর গোরাচাঁদ মোটর ট্রেনিং সেন্টার। প্রতিষ্ঠানের এমন নাম দেখে নিশ্চয়ই বোঝা যায় যে কোন এক সময় পীর গোরাচাঁদ নামে একজন ইসলাম প্রচারক এই অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তার নামই মানুষের কাছে এক ভরসা। অনেকটা অন্ধবিশ্বাসও বটে।
হাড়োয়াতে বিদ্যাধরী নদীর উত্তর পাড়ে পীর গোরাচাঁদের মাজার। মাজারের সামনে শ্বেতপাথরে আরবী, বাংলা এবং ইংরেজীতে লেখা আছে এই পীর গোরাচাঁদের জন্ম এবং মৃত্যু তারিখ। এখানে লেখা আছে সৈয়দ আব্বাস আলি (রহঃ) ওরফে পীর গোরাচাঁদ(১২৬৫-১৩৪৫)। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায় যে তিনি সুলতান আমলে আরো ২২জন আউলিয়ার সাথে বাংলায় ইসলাম প্রচার করতে আসেন। হাড়োয়া থেকে বাদিকে আরো প্রায় দুকিলোমিটার এগিয়ে গেলে খাস বালান্ডা গ্রাম। এই গ্রামেই অবস্থান করছে এই লাল মসজিদ।
বাংলায় সেন রাজত্ব চলে প্রায় ১৫০ বছর। এই সেনেরাই প্রবুদ্ধ বাংলায় প্রথম ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসন কায়েম করে। তাঁরা বাঙালীর সমুদ্র যাত্রা বন্ধ করে দেয়। কৌলীন্য প্রথা কায়েম করে বাংলার মানুষকে গোলামে পরিণত করে। এই সময়ই বিশ্বভ্রাতৃত্বের বানী নিয়ে ইসলামের প্রচার করতে আসেন আউলিয়াগণ। এরা সকলেই অনেকটা সুফি মনোভাবাপন্ন। এদের শান্তির বানী সাথে বুদ্ধের অহিংসা অনেকটা মিলে যায়। ফলে প্রবুদ্ধ বাঙ্গালী রাজধর্ম হিসেবে ইসলামকেই হিন্দু ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ বলে মেনে নেয়। অনেক জায়গায় মানুষ পীরদের সহায়তায় তাঁদের পুরাতন বুদ্ধ বিহারকে সংস্কার করে ইসলাম উপাসনা স্থল বানিয়ে নেয়। এমনই একটি বুদ্ধ বিহার এই লাল মসজিদ। বুদ্ধ বিহারটি চন্দ্রকেতু গড়ের সমসাময়িক কালের নির্মাণ। এর গায়ে বুদ্ধ যুগের শিল্পকলা এখনো বিদ্যমান। বিহারটির প্রবেশ দ্বারে যে দুটি পাথরের পিলার পাওয়া গেছে তাতে পালি এবং ব্রাহ্মী লিপিতে কিছু লেখা আছে। ঐতিহাসিকরা মনে করছেন হিন্দু রাজা চন্দ্রকেতুর দখলে থাকা প্রাচীন এই বুদ্ধ বিহারকে সাধারণ মানুষ রাতারাতি দখল করে নেওয়া হয় এবং এটিকে লাল মসজিদ (প্রাচীন টেরাকোটা দিয়ে সজ্জিত) হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
না এখানে কেউ নামজ পড়েতে আসেন না। শুধু ফালগুণ মাসে সর্ব ধর্মের মানুষ এখানে মোমবাতী জ্বালাতে আসেন।
আজ এই লাল মসজিদ থেকে পাওয়া কিছু নিদর্শন এবং লোকমুখে এখানকার প্রাচীন নাম শুনে আমি এক আবিষ্কারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। সেটি অবশ্যই অন্যত্র আপনাদের জানব।

Friday, 5 October 2018

বঙ্গাসুর বধ, বঙ্গবাসীর চরম অপমান





ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLI হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালের ৪২তম আমেন্ডমেন্টে এই সেকুলার কথাটির ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে যে,
“-ভারতে সরকারী ভাবে কোন বিশেষ ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
-জনগণ নিজের পছন্দ মত যে কোন ধর্ম পালন করতে পারেন।
- সরকার কোন ভাবেই কোন বিশেষ ধর্মের প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারী টাকা বরাদ্দ করতে পারবে না।
-সরকার কোন বিশেষ গোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুষ্ঠান অথবা উৎসবে অংশগ্রহণ করবে না। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তাই এখানে কোন রাজ্যধর্ম নেই। এখানকার জনগণ শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করতে পারবে”।

সংবিধানের এই নির্দেশিকা নির্বাচিত, এমএলএ, এমপি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি প্রভৃতি সাংবিধানিক পদাধিকারীদের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য। সাংবিধানিক কোন পদে থেকে প্রকাশ্যে বিশেষ কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করা ভারতীয় সংবিধান বহির্ভূত কাজ। এতে সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের গরিমা বিনষ্ট হয় এবং জনগণের মধ্যে অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়।

Sunday, 10 June 2018

তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে কেউ বা হাঁকে পুলিশ


তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে কেউ বা হাঁকে পুলিশ 
কেউবা বলে কামড়ে দেবে সাবধানেতে তুলিস ……    

 
ছোটবেলা থেকে শুনে আসছিহেড অফিসের বড়বাবুএরকমই মাথার ব্যারাম হঠাহঠাৎ  তিনি এমন কান্ড বাঁধিয়ে বসেন যা সামলাতে দেশ শুদ্ধ মানুষের হিমশিম খেতে হয় তারপর দেখা যায় সব কিছু ভোঁভা সব ফেক, সব ঝুটসবটাই জুমলাবাজী  …  

Friday, 8 June 2018

প্রনব মুখার্জির অন্তিম অভিলাষ- ১


ম্প্রতি প্রণব মুখার্জির সাথে আরএসএস বা সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের ৭ই জুন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মূখ্য কার্যালয় নাগপুরের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রধান বক্তা হিসেবে তার যোগদান ভারতীয় রাজনীতির এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবে অনেকে বর্ণনা করছেন। দীর্ঘকাল কংগ্রেস শিবিরের অত্যন্ত একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন প্রণব বাবু। অলক্ষ্যে থেকে কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ ঝড়ঝাপটা অনেকটাই সামলেছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের নম্র সহচর হয়ে নিঃশব্দে উঠে এসেছেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অলিন্দে। ২০১২ সালে কংগ্রেসের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়ে তিনি বিজেপির মনোনীত প্রার্থী পিএ সাংমাকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং দক্ষতার সাথে সামলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিকের পদ। এহেন প্রণব মুখার্জির নাগপুরাভিমুখি প্রবণতা দেখে ভারতীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা চঞ্চল হবেনতো বটেই চমৎকৃতও হবেন! তাঁদের বিশ্লেষণে উঠে আসবে নানান তথ্য। সঙ্ঘ পরিবারের প্রধানরাও নানা গোপন তথ্য প্রকাশ করে প্রণব বাবুর সাথে তাঁদের দীর্ঘ সম্পর্কের সূত্রতা উজাড় করে তুলে ধরবেন। প্রবল উত্তেজনায় ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক সচেতন মানুষ উদগ্রীব হয়ে শুনতে চাইবেন ৮২ বছর অতিক্রান্ত প্রণব মুখার্জির অন্তিম অভিপ্রায়।

Friday, 4 May 2018

দলিত-বহুজন এবং হিন্দুত্ব




Photo from Sudra the Rising
গ্রাসন, আক্রমণ, জয়, পরাজয় মানবেতিহাসের একটি প্রবাহমান ধারা। এই ধারার মধ্য দিয়েই সূচীত হয়েছে বিজেতার সামাজিক উত্তরণ এবং বিজিতের অবনমন। জিঘাংসার এই প্রদোষকালে বিজেতার প্রবল বিজয় উল্লাসের উচ্চকিত ঢক্কানিনাদে চাপা পড়ে গেছে বিজিতের  হাহাকার। প্রতিকুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার নিস্পত্তি হয়েছে বিজিতের প্রতি বিজেতার প্রবল ঘৃণা অবজ্ঞা দিয়ে যা কালে বিজিতের আত্তপরিচয়ের সাথে স্থায়ী ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

Tuesday, 27 March 2018

রক্ষাকবচ -১, SC/ST prevention of Atrocities Act. 1989






ভারতীয়  সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা হয়েছেঃ
WE, THE PEOPLE OF INDIA, having solemnly resolved to constitute India into a SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC and to secure to all its citizens:
JUSTICE, social, economic and political;
LIBERTY, of thought, expression, belief, faith and worship;
EQUALITY of status and of opportunity;
and to promote among them all
FRATERNITY assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation;
IN OUR CONSTITUENT ASSEMBLY this twenty-sixth day of November, 1949, DO HEREBY ADOPT, ENACT AND GIVE TO OURSELVES THIS CONSTITUTION.

ভারতের সংবিধানে সমস্ত মানুষকে সমান মর্যাদা দানের কথা উল্লেখ করলেও সমাজ ব্যবস্থায় রয়ে গেছে জাতপাতের বিভেদ। তথাকথিত স্বাধীনতার ৭১ বছর পেরিয়ে এসেও ভারতের জাতিগত বৈষম্যের প্রভাব এতটুকুও কমেনি। এখনো এদেশের ভদ্রলোক নাগরিকেরা বঞ্চিত মানুষদের পশুর থেকেও খারাপ নজরে দেখে। এই মানসিকতা আরো প্রকট হয়ে দেখা দেয় জাতপাতের  প্রশ্নে এই জাতপাতের ধারনা ভারতের নাগরিক সমাজের মধ্যে এত প্রবল যে মানব জাতি এখানে ৬৭৪৮টি জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে (Anthropological Survey of India, Oxford University Press, 1998)  এবং এই বিভাজনের পরতে পরতে রয়েছে দুর্ভেদ্য বিভেদ ঘৃণার বেড়াজাল। এই বিভেদ আবার ধর্মীয় রসায়নে জারিত হয়ে ভারতের মানুষের মজ্জায় মজ্জায় গিয়ে একটি স্থায়ী রূপ ধারন করেছে এবং জন্মান্তরের সাথে প্রথিত হয়ে গেছে।