Pages

Friday, 5 October 2018

বঙ্গাসুর বধ, বঙ্গবাসীর চরম অপমান





ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLI হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালের ৪২তম আমেন্ডমেন্টে এই সেকুলার কথাটির ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে যে,
“-ভারতে সরকারী ভাবে কোন বিশেষ ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
-জনগণ নিজের পছন্দ মত যে কোন ধর্ম পালন করতে পারেন।
- সরকার কোন ভাবেই কোন বিশেষ ধর্মের প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারী টাকা বরাদ্দ করতে পারবে না।
-সরকার কোন বিশেষ গোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুষ্ঠান অথবা উৎসবে অংশগ্রহণ করবে না। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তাই এখানে কোন রাজ্যধর্ম নেই। এখানকার জনগণ শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীন ভাবে ধর্ম পালন করতে পারবে”।

সংবিধানের এই নির্দেশিকা নির্বাচিত, এমএলএ, এমপি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি প্রভৃতি সাংবিধানিক পদাধিকারীদের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য। সাংবিধানিক কোন পদে থেকে প্রকাশ্যে বিশেষ কোন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করা ভারতীয় সংবিধান বহির্ভূত কাজ। এতে সার্বভৌম, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের গরিমা বিনষ্ট হয় এবং জনগণের মধ্যে অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়।

Sunday, 10 June 2018

তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে কেউ বা হাঁকে পুলিশ


তাই শুনে কেউ বদ্যি ডাকে কেউ বা হাঁকে পুলিশ 
কেউবা বলে কামড়ে দেবে সাবধানেতে তুলিস ……    

 
ছোটবেলা থেকে শুনে আসছিহেড অফিসের বড়বাবুএরকমই মাথার ব্যারাম হঠাহঠাৎ  তিনি এমন কান্ড বাঁধিয়ে বসেন যা সামলাতে দেশ শুদ্ধ মানুষের হিমশিম খেতে হয় তারপর দেখা যায় সব কিছু ভোঁভা সব ফেক, সব ঝুটসবটাই জুমলাবাজী  …  

Friday, 8 June 2018

প্রনব মুখার্জির অন্তিম অভিলাষ- ১


ম্প্রতি প্রণব মুখার্জির সাথে আরএসএস বা সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের ৭ই জুন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মূখ্য কার্যালয় নাগপুরের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রধান বক্তা হিসেবে তার যোগদান ভারতীয় রাজনীতির এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবে অনেকে বর্ণনা করছেন। দীর্ঘকাল কংগ্রেস শিবিরের অত্যন্ত একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন প্রণব বাবু। অলক্ষ্যে থেকে কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ ঝড়ঝাপটা অনেকটাই সামলেছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের নম্র সহচর হয়ে নিঃশব্দে উঠে এসেছেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অলিন্দে। ২০১২ সালে কংগ্রেসের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়ে তিনি বিজেপির মনোনীত প্রার্থী পিএ সাংমাকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং দক্ষতার সাথে সামলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিকের পদ। এহেন প্রণব মুখার্জির নাগপুরাভিমুখি প্রবণতা দেখে ভারতীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা চঞ্চল হবেনতো বটেই চমৎকৃতও হবেন! তাঁদের বিশ্লেষণে উঠে আসবে নানান তথ্য। সঙ্ঘ পরিবারের প্রধানরাও নানা গোপন তথ্য প্রকাশ করে প্রণব বাবুর সাথে তাঁদের দীর্ঘ সম্পর্কের সূত্রতা উজাড় করে তুলে ধরবেন। প্রবল উত্তেজনায় ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক সচেতন মানুষ উদগ্রীব হয়ে শুনতে চাইবেন ৮২ বছর অতিক্রান্ত প্রণব মুখার্জির অন্তিম অভিপ্রায়।

Friday, 4 May 2018

দলিত-বহুজন এবং হিন্দুত্ব




Photo from Sudra the Rising
গ্রাসন, আক্রমণ, জয়, পরাজয় মানবেতিহাসের একটি প্রবাহমান ধারা। এই ধারার মধ্য দিয়েই সূচীত হয়েছে বিজেতার সামাজিক উত্তরণ এবং বিজিতের অবনমন। জিঘাংসার এই প্রদোষকালে বিজেতার প্রবল বিজয় উল্লাসের উচ্চকিত ঢক্কানিনাদে চাপা পড়ে গেছে বিজিতের  হাহাকার। প্রতিকুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার নিস্পত্তি হয়েছে বিজিতের প্রতি বিজেতার প্রবল ঘৃণা অবজ্ঞা দিয়ে যা কালে বিজিতের আত্তপরিচয়ের সাথে স্থায়ী ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

Tuesday, 27 March 2018

রক্ষাকবচ -১, SC/ST prevention of Atrocities Act. 1989






ভারতীয়  সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা হয়েছেঃ
WE, THE PEOPLE OF INDIA, having solemnly resolved to constitute India into a SOVEREIGN SOCIALIST SECULAR DEMOCRATIC REPUBLIC and to secure to all its citizens:
JUSTICE, social, economic and political;
LIBERTY, of thought, expression, belief, faith and worship;
EQUALITY of status and of opportunity;
and to promote among them all
FRATERNITY assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the Nation;
IN OUR CONSTITUENT ASSEMBLY this twenty-sixth day of November, 1949, DO HEREBY ADOPT, ENACT AND GIVE TO OURSELVES THIS CONSTITUTION.

ভারতের সংবিধানে সমস্ত মানুষকে সমান মর্যাদা দানের কথা উল্লেখ করলেও সমাজ ব্যবস্থায় রয়ে গেছে জাতপাতের বিভেদ। তথাকথিত স্বাধীনতার ৭১ বছর পেরিয়ে এসেও ভারতের জাতিগত বৈষম্যের প্রভাব এতটুকুও কমেনি। এখনো এদেশের ভদ্রলোক নাগরিকেরা বঞ্চিত মানুষদের পশুর থেকেও খারাপ নজরে দেখে। এই মানসিকতা আরো প্রকট হয়ে দেখা দেয় জাতপাতের  প্রশ্নে এই জাতপাতের ধারনা ভারতের নাগরিক সমাজের মধ্যে এত প্রবল যে মানব জাতি এখানে ৬৭৪৮টি জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে (Anthropological Survey of India, Oxford University Press, 1998)  এবং এই বিভাজনের পরতে পরতে রয়েছে দুর্ভেদ্য বিভেদ ঘৃণার বেড়াজাল। এই বিভেদ আবার ধর্মীয় রসায়নে জারিত হয়ে ভারতের মানুষের মজ্জায় মজ্জায় গিয়ে একটি স্থায়ী রূপ ধারন করেছে এবং জন্মান্তরের সাথে প্রথিত হয়ে গেছে।


Sunday, 4 March 2018

বসন্ত বাতাসে সই গো…




ফাগুণ আসে শিমূলের ডালেপলাশের বনে আর কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায়। ফাগুণ আসে শাল- মহুলের পাতার ফাঁকে। ফাগুণ আসে মৌমাছিদের পাখায় পাখায় আর ভ্রমরের গুঞ্জরনে। ফাগুণ আসে বলেই মনের বনে হিন্দোল তোলে দক্ষিণা বাতাস। ফাগুণ আসে বলেই দুরন্ত যৌবন ঝুমকো লতার ফাঁক  দিয়ে বন্ধুর বাড়ির বন্ধ দরজায় আঘাত হানে। জানিয়ে দেয় বসন্ত এসে গেছে।



বিবর্তনের কোন বাঁকে এসে কবে কোন শিকারী পুরুষ বনের গুঞ্জাফুল তুলে  তার প্রেয়সীর খোঁপায় গুঁজে দিয়ে নিজেকে পুরুষ হিসেবে আবিষ্কার করেছিল জানি না। শুধু বুঝতে পারি প্রকৃতির এই গুঞ্জরিত ফুল-ফলের সমাবর্তনে পাখির কলতানের সাথে সাথে আমাদের আদিম পিতা-মাতার কণ্ঠেও ভেসে উঠেছিল জীবনের গান। বসন্ত তাই জীবনেরই অগ্রদূত। মধুর মিলনই  জীবনের যথার্থ অভিব্যক্তি।

Tuesday, 27 February 2018

নারী হত্যার বিজয় উল্লাস “হোলী হ্যায়”




“Manuvaadis have twisted and distorted the rich cultural history of the Bahujans. We need to shake the dust off, remove the mythological lies and tell the truth to our people and our children. That is the only way we can reclaim our true history.’’ Reclaiming Mahishasura, By: Gauri Lankesh, Bangalore Mirror Bureau | Updated: Feb 29, 2016.


“বেটি
বাঁচাও, বেটি পড়াও ” ভারতের একটি রাষ্ট্রীয় যোজনা। নিশ্চিতরূপে নারীর জীবনকে সমৃদ্ধ এবং সুরক্ষিত করে একটি মজবুত ভারত গড়ে তোলাই এই যোজনার লক্ষ্য। নারী যাতে সুশিক্ষিত হয়ে যোগ্যতর ভারতমাতা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে দিকেও নিশ্চিতভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই যোজনায়। সর্বোপরি গুরুত্ব  দেওয়া হয়েছে শিক্ষিত মায়ের উপযুক্ত সন্তানদের উপর যাতে তারা দেশের প্রয়োজনে “ভারতমাতা কী জয়” ধ্বনি তুলে গর্বের সাথে দেশপ্রেম ব্যক্ত করতে পারে এবং দেশের অখণ্ডতা ও সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে।