বেদের সময় দেবতারা দুটো প্লানেট বানিয়েছিলেন।
স্বর্গলোক আর মর্তলোক।
দেবতারা আবার আকাশকে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন এই দুই লোকের মধ্যে।
কি বিশ্বাস হচ্ছেনা?
আরে বাবা বিশ্বাস করুন দেবতারা সব পারেন।
পারেন বলেই তারা আবার একটি প্লানেট তৈরি করলেন।
তার নাম দিলেন পিতৃলোক।
আপনারা বলতেই পারেন আবার “পিতৃলোক” কেন বাবা?
স্বর্গেতো খানাপিনার অভাব নেই!
অবাধ ফুর্তি আর অবাধ সুরা!
ওটাই তো দেবতাদের স্থায়ী ঠিকানা!
আরে বোঝেন না কেন?
ওটাতো অমর লোক!
ওখানে জন্ম নেই মৃত্যুও নেই!
আর ওখানে দেবতাদের সংখ্যা এতো বেশি!
বাপ রে বাপ অত সংখ্যায় উর্বশী নেই!
কোথাও না কোথাও দেবতাদের বংশ রক্ষা করতে হবেতো?
তাই দেবতারা মাঝে মাঝে মর্তলোকে আসেন।
লীলা করেন।
হাজার হাজার মর্তের নারীকে সুরাসংস্কৃতি শেখান।
দেবালয় স্থাপন করেন।
দেবদাসী সংগ্রহ করেন।
দেবালয়ের পাশেই সুরাপল্লী গড়ে তোলেন।
আবার এই সুরাপল্লীর সংস্কৃতিকে একেবারে অন্দরমহল পর্যন্ত নিয়ে যাবার জন্য পুরুতগিরি করতে হয়।
ঝক্কি তো কম নয় বাবা!
ঝুকিও আছে।
এই ঝুকি পূর্ণ কাজ করতে গিয়ে মর্তের নিয়মানুসারে দেবতাদের মৃত্যু হতে পারে।
ওহ থুড়ি! থুড়ি!
আগেই বলে রাখা উচিৎ ছিল যে, মর্তের বামুনেরা হল দেবতাদের এলিয়েন( যজুর্বেদ অনুসারে)।
তা এই মর্তের বাতাস লেগে দেবতাদের মৃত্যু হলেতো চলবেনা বাপু!
তাদের আবার স্বর্গলোকে ফিরতে হবে।
তাই স্বর্গলোকে ফেরার আগে বিশুদ্ধতা যাচাই করার প্রয়োজন।
কিন্তু ততদিন ওই দিদেহী এলিয়েনের একটা থাকার জায়গা করে দিতে হবে তো?
তাই পিতৃলোকের পরিকল্পনা।
ওই পিতৃলোকে অবস্থান কালে এলিয়েনেরা স্বর্গলোকে যাবার জন্য প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়াবে।
তাদের ক্ষেত্রজেরা পৃথিবীতে অবস্থানকারী আর একটা বামুন ডেকে আদ্যশ্রাদ্ধ করবেন।
গুষ্টির পিণ্ডী দেবেন।
তারপর পিতৃপক্ষের শেষ হবে।
সুচনা হবে মাতৃপক্ষের।
অর্থাৎ পৃথিবীতে আরো কত মাকে সুরা সংস্কৃতির আওতায় নিয়ে আসা যায়, আরো কত সুরাপল্লী বানানো যায়, সুরা সংস্কৃতিকে একেবারে প্রত্যহিক করে তোলা যায় তার প্রস্তুতি সুরু হবে। এই মহান কাজকে আলয় আলয় পর্যন্ত ধ্বনি প্রতিধ্বনিত করে তুলতে হবে। মানুষের ঘুম ভাঙবে মহালয়ার এই পূন্য সুরাসংস্কৃতির আহ্বানে। “ইয়া দেবী সর্ব ভুতেসু মাতৃরূপেন সংস্থিতা”।
১৯৩১ সালে মর্তের এলিয়েনরা বাংলার বুকে এমনি এক সুরা সংস্কৃতির অবতারণ করলেন। পিতৃকুলকে সুরালোকে পাঠানোর জন্য, মর্তের মাকে সুরাপল্লীর উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য তৈরি হল মহিষাসুর মর্দিনীর উপখ্যান।
বানীকুমার রচনা করলেন স্তোত্র।
পঙ্কজ মল্লিক দিলেন সুর ও তাল।
বীরেন্দ্র কুমার ভদ্র দায়িত্ব নিলেন গ্রন্থনার।
গন্ধর্ব, কিন্নর, কিন্নরীদের সুললিত কণ্ঠে আকাশবাণীর মাধ্যমে ধ্বনিত হল “আয়ে গিরি নন্দিনী নন্দিতা মেদিনী... জয় জয় হে মহিষাসুর মর্দিনী...।।
পারেন বলেই তারা আবার একটি প্লানেট তৈরি করলেন।
তার নাম দিলেন পিতৃলোক।
আপনারা বলতেই পারেন আবার “পিতৃলোক” কেন বাবা?
স্বর্গেতো খানাপিনার অভাব নেই!
অবাধ ফুর্তি আর অবাধ সুরা!
ওটাই তো দেবতাদের স্থায়ী ঠিকানা!
আরে বোঝেন না কেন?
ওটাতো অমর লোক!
ওখানে জন্ম নেই মৃত্যুও নেই!
আর ওখানে দেবতাদের সংখ্যা এতো বেশি!
বাপ রে বাপ অত সংখ্যায় উর্বশী নেই!
কোথাও না কোথাও দেবতাদের বংশ রক্ষা করতে হবেতো?
তাই দেবতারা মাঝে মাঝে মর্তলোকে আসেন।
লীলা করেন।
হাজার হাজার মর্তের নারীকে সুরাসংস্কৃতি শেখান।
দেবালয় স্থাপন করেন।
দেবদাসী সংগ্রহ করেন।
দেবালয়ের পাশেই সুরাপল্লী গড়ে তোলেন।
আবার এই সুরাপল্লীর সংস্কৃতিকে একেবারে অন্দরমহল পর্যন্ত নিয়ে যাবার জন্য পুরুতগিরি করতে হয়।
ঝক্কি তো কম নয় বাবা!
ঝুকিও আছে।
এই ঝুকি পূর্ণ কাজ করতে গিয়ে মর্তের নিয়মানুসারে দেবতাদের মৃত্যু হতে পারে।
ওহ থুড়ি! থুড়ি!
আগেই বলে রাখা উচিৎ ছিল যে, মর্তের বামুনেরা হল দেবতাদের এলিয়েন( যজুর্বেদ অনুসারে)।
তা এই মর্তের বাতাস লেগে দেবতাদের মৃত্যু হলেতো চলবেনা বাপু!
তাদের আবার স্বর্গলোকে ফিরতে হবে।
তাই স্বর্গলোকে ফেরার আগে বিশুদ্ধতা যাচাই করার প্রয়োজন।
কিন্তু ততদিন ওই দিদেহী এলিয়েনের একটা থাকার জায়গা করে দিতে হবে তো?
তাই পিতৃলোকের পরিকল্পনা।
ওই পিতৃলোকে অবস্থান কালে এলিয়েনেরা স্বর্গলোকে যাবার জন্য প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়াবে।
তাদের ক্ষেত্রজেরা পৃথিবীতে অবস্থানকারী আর একটা বামুন ডেকে আদ্যশ্রাদ্ধ করবেন।
গুষ্টির পিণ্ডী দেবেন।
তারপর পিতৃপক্ষের শেষ হবে।
সুচনা হবে মাতৃপক্ষের।
অর্থাৎ পৃথিবীতে আরো কত মাকে সুরা সংস্কৃতির আওতায় নিয়ে আসা যায়, আরো কত সুরাপল্লী বানানো যায়, সুরা সংস্কৃতিকে একেবারে প্রত্যহিক করে তোলা যায় তার প্রস্তুতি সুরু হবে। এই মহান কাজকে আলয় আলয় পর্যন্ত ধ্বনি প্রতিধ্বনিত করে তুলতে হবে। মানুষের ঘুম ভাঙবে মহালয়ার এই পূন্য সুরাসংস্কৃতির আহ্বানে। “ইয়া দেবী সর্ব ভুতেসু মাতৃরূপেন সংস্থিতা”।
১৯৩১ সালে মর্তের এলিয়েনরা বাংলার বুকে এমনি এক সুরা সংস্কৃতির অবতারণ করলেন। পিতৃকুলকে সুরালোকে পাঠানোর জন্য, মর্তের মাকে সুরাপল্লীর উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য তৈরি হল মহিষাসুর মর্দিনীর উপখ্যান।
বানীকুমার রচনা করলেন স্তোত্র।
পঙ্কজ মল্লিক দিলেন সুর ও তাল।
বীরেন্দ্র কুমার ভদ্র দায়িত্ব নিলেন গ্রন্থনার।
গন্ধর্ব, কিন্নর, কিন্নরীদের সুললিত কণ্ঠে আকাশবাণীর মাধ্যমে ধ্বনিত হল “আয়ে গিরি নন্দিনী নন্দিতা মেদিনী... জয় জয় হে মহিষাসুর মর্দিনী...।।
No comments:
Post a Comment