Pages

Tuesday, 21 May 2013

কনভেনর, খাদ্য ও কাজের অধিকার অভিযান-পশ্চিমবঙ্গ

শরদিন্দু উদ্দীপন 
কনভেনর, খাদ্য ও কাজের অধিকার  অভিযান-পশ্চিমবঙ্গ 

অপুষ্টির সর্বশেষ স্তর হল অনাহার যা চিরস্থায়ী শারীরিক বিকলাঙ্গতা এবং মৃত্যু কারণ হতে পারে।
দারিদ্রতা,দীর্ঘদিন না খেতে পাওয়ার কারনে অনাহারে মৃত্যুর খবর আমলা শোলের ঘটনা থেকে মানুষের সামনে আসতে শুরু করে। জলপাইগুড়ির চা বাগান থেকে উঠে আসে কঙ্কালসার মানুষগুলির খবর। ঘাস পাতা শিকড় বাকড় খেয়ে তাদের অনেকেই বিকলাঙ্গ। অনেকেই অকালে মারা গেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বারবার একথা জানালেও কোন সরকার অনাহারে মৃত্যু স্বীকার করেনি।
বরং রোগ এবং বয়সের ভারে মৃত্যু বলে চালাতে সচেষ্ট হয়েছেন বেশি।  কোন কোন ক্ষেত্রে অনাহারে মৃত্যুর স্বীকৃতি আদায় করতে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আদালতের রায় সরকার মেনে নিতে বাদ্ধ হলেও এই ঘটনা থেকে কোন শিক্ষা লাভ করেনি। বরং ধামাচাপা দেবার জন্য বেশী সচেষ্ট হয়েছেন। অবহেলা ও কুটিলতার এই ছিদ্র ধরেই অনাহার ছড়িয়ে পড়েছে। বিকলাঙ্গতা ও মৃত্যু হানা দিচ্ছে প্রত্যেক জেলায়। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে যে,এই মৃত্যু ও বিকলাঙ্গতার শিকার হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

Saturday, 18 May 2013

বিষয়: হিন্দু (এর পরবর্তী অংশ) জগদীশ রায়


বর্ণাশ্রমে বেষ্টিত ভারতীয়দের হিন্দু বলে প্রমানিত করার রাস্তাটা প্রসারিত হতে শুরু করে 1921 সাল নাগাদ। প্রকৃত পক্ষে ব্রাহ্মণরা তখনো পর্যন্ত নিজেদের হিন্দু মনে করতেন না। এখনো করেন না। এর কারন পরে বলছি । 1922 সালে তারা নাসিকে ‘হিন্দু মহাসভা’ এর স্থাপন করে । কিন্তু কেন? সে ইতিহাস ধাপে ধাপে প্রকাশ করছি । তার অগে অমরা দেখছি রাজা রামমোহন রায় 20 আগষ্ট 1828 সালে ‘ব্রাহ্ম সমাজ’ স্থাপন করেন । দয়ানন্দ সরস্বতী 1875 সালে ‘আর্য সমাজ’স্থাপন করেন । এই ‘আর্য সমাজ’ স্থাপনের পিছনেও একটা ষড়যন্ত্র আছে । কে এই দয়ানন্দ সরস্বতী ? এর আসল নাম কেদার নাথ পান্ডে । যিনি গুজরাটি ব্রাহ্মণ। তিনি রাজকোট জেলার টংকারা নামক বোম্বে (মুম্বাই) আসেন । বোম্বেতে কেন ? কারণ 1873 সালে মহারাষ্ট্রে মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে ‘সত্যশোধক’ সমাজ’-এর স্থাপণ করেন ।‘সত্যশোধক’ অর্থাৎ সত্য কলুষিত হয়েগিয়েছিল ব্রাহ্মণদের ষড়যন্ত্রে, তাই তাকে শোধন করা দরকার হয়ে পড়ে । ‘সত্যশোধক’ কে  ENCOUNTER কারার জন্য কেদার নাথ পান্ডে মহশয় দয়ানন্দ সরস্বতী নামে এই ‘আর্য সমাজ’-এর স্থাপন করেন। উদ্দেশ্য সত্যশোধক আন্দোলনকে সম্পূর্ণ

Sunday, 12 May 2013

বিষয়: হিন্দু


বিষয়: হিন্দু

জগদীশ রায় 
ভারত বর্ষের সব থেকে বড় ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম ।এদেশের বেশীর ভাগ জনগণ হিন্দু ধর্ম বলম্বী । তারা তাদের ধর্মকে বিশ্বাস করে আবার অনেকে নিজেকে ‘হিন্দু’ বলে গর্ববোধ ও করেন । যেটা স্বাভাবিক ।
এখানে এই আলোচনায় কারো ব্যাক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত করার উদ্দেশে নয় । আর আঘাত লাগলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । কারন কখনও কখনও বিস্বাসে আঘাত লাগাটাও স্বাভাবিক হয়; যখন সেটাকে যুক্তি-তর্ক দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করার চেষ্টা না করা

Saturday, 11 May 2013

শাসক প্রভুদের রাজনৈতিক গড়াপেটার বলি হচ্ছে বহুজন সমাজ।



হয় কংগ্রেসের সাথে থাকো নয় বামফ্রন্ট। অথবা তৃণমূল না হলে বিজেপি। চোলাইয়ের মত গেলাতে গেলাতে এই আপ্ত বাক্যটি প্রায় অমৃত ভাষণে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ পবিত্র প্রভূদের ছাড়া গতি নেই। কলৌ নাস্তেবঃ নাস্তেবঃ গতিরন্যথা। 

একদা গরীবের হাড়ে দুব্বা গজানোর জমিদার প্রভূদের অপত্য গর্ভের সন্তানদের নিয়ে গঠিত কংগ্রেস দল। ৮০% উপর বামুন প্রভুদের নিয়ে গড়া এই দলটি বহুজন মানুষের কাছে ঢাক ঢোল পিটিয়ে নিজেদের মহিমা কীর্তন করেছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে থেকে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর প্রতিবছর স্বাধীনতার একফালি ছেড়া কাপড় উড়িয়ে বিস্কুট লেবেঞ্চুস বিতরণ করে দায়িত্ব শেষ

Sunday, 5 May 2013

চিটফান্ড আসলে বহুজনের বিরুদ্ধে ডিভাইন প্রভুদের যুদ্ধের শঙ্খনাদ।



চিটফান্ড আসলে বহুজনের বিরুদ্ধে ডিভাইন প্রভুদের যুদ্ধের শঙ্খনাদ। 

সারদার জালিয়াতি কান্ড সামনে আসার পরে বেশ কয়েকটি আশঙ্কার কথা আলতো করে বাতাসে ভাসিয়ে দেবার চেষ্টা হচ্ছে।
ক্রমশঃ জোরালো করে তোলা হচ্ছে এই আশঙ্কার পরিবেশ। পালা বন্দনার মতো গাওনা শুরু হয়েছে যে চিটফান্ড বন্ধ হলেঃ
১) বাংলার ফুটবলের উপর বিরাট প্রভাব পড়বে।
২) বাংলার সুমহান ঐতিহ্য দুর্গা পূজার জৌলুস কমে যাবে।
৩) টিভি সিরিয়ালগুলির উপর প্রভাব পড়বে।
৪) সিনেমা শিল্পের অনেক তাবড় প্রযোজক পালিয়ে যাবেন।
৫) যাত্রা শিল্প পাততাড়ি গুটাতে বসবে। বড় চিত্র তারকাদের

Saturday, 4 May 2013

কি করবেন মমতা !


কি করবেন মমতা ! 
সারদা কান্ডের মতো এত বড় আর্থিক দুর্নীতি সমগ্র পূর্ব ভারতে বোধহয় এই প্রথম। এর আগে সঞ্চয়িতা বা ভেরনার মত চিট ফান্ডগুলি নিয়ে হৈ চৈ হলেও ব্যপকতার ক্ষেত্রে সারদা সকল কেই ছাপিয়ে গেছে। তাছাড়া পূর্বের চিটফান্ডগুলির আমানতকারীরা ছিলেন শহর বা আধা শহরের মধ্যবিত্ত মানুষ। শ্রমজীবী বা কৃষিজীবী মানুষকে তারা খুব বেশি প্রভাবিত করতে পারেনি। অথবা এই মানুষগুলিও যে চিটফান্ডের আমানতকারী হতে পারে এ ধারণা ও বোধহয় চিটফান্ডের পরিকল্পকদের ছিলনা। অন্যদিকে ভয়ে হোক বা অজ্ঞতার কারণে হোক সরল গবাগুবো মানুষগুলি চিটফান্ডের ধারে বাড়ে যেতেন না। আশির দশক থেকেই কিছু রাষ্ট্রীয় প্রকল্প জনমানসের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। ধীরে ধীরে শ্রমজীবী বা কৃষিজীবী মানুষ ক্ষুদ্র সঞ্চয় বা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির আওতায় আসতে শুরু

Wednesday, 1 May 2013

চিঠি লিখে ডাকাতি!!



চিঠি লিখে ডাকাতি!! 

এক সময় চিঠি দিয়ে ডাকাতি হত এই বাংলায়। ডাকাতির বিদ্যার এই পরিভাষাকে মহৎ ও বলতে আবার ঔদ্ধত্য হিসেবেও দেখতে পারেন। তবে ডাকাতের খানদানী ও আভিজাত্য বজায় রাখার জন্য এই কাগুজে সংকেতটি ছিল অবশ্য ঘটিতব্য গণবার্তা। শোনা যায় হাটে হাটে ঢেরা পিটিয়েও ডাকাতি হত। এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকত ডাকাতির সর্তগুলি কি কি। কবে ও কখন ডাকাতি হবে। ডাকাতিতে বাঁধা দিলে কি ধরনের শাস্তি হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। 

সেকালের অনেক জমিদার বাবুরাও ডাকাত পুষতেন। তাগড়া জোয়ান লাঠিয়াল,সড়কিবাজ,বল্লমবাজদের নিয়ে গড়া ডাকাত দলগুলি জমিদারদের প্রভাব, প্রতিপত্তি ও সম্পত্তি বাড়াতে উৎসেচকের মত কাজ করতো। ডাকাতগুলিকে পরিচালনা করতেন মেজ, সেজ বা ছোটবাবুরা। কিন্তু আসল কনট্রোল ছিল বড়বাবুদের হাতে। আড়ালে থেকে তিনিই নাড়াচাড়া করতেন জীয়নকাঠি ও মরণকাঠি। মেজবাবু, সেজবাবু বা ছোটবাবুরা কখনো সখনো ফেঁসে গেলে পিছনে থেকেই তিনি আইনি প্যাঁচ পয়জারে রক্ষা করতেন ডাকাতি সংস্কৃতির আপ্ত সহায়ক ও অনুচরদের। সাক্ষ প্রমান ধ্বংস করা, আইনি জটিলতা তৈরি করা ও অচলাবস্থা সৃষ্টি করে অপরাধিকে আড়াল করা বা বেকসুর খালাস করাই ছিল এই সংস্কৃতির মূখ্য উদ্দেশ্য। একেবারে উপায় না থাকলে অগত্যা


চিঠি লিখে ডাকাতি!! 
এক সময় চিঠি দিয়ে ডাকাতি হত এই বাংলায়। ডাকাতির বিদ্যার এই পরিভাষাকে মহৎ ও বলতে আবার ঔদ্ধত্য হিসেবেও দেখতে পারেন। তবে ডাকাতের খানদানী ও আভিজাত্য বজায় রাখার জন্য এই কাগুজে সংকেতটি ছিল অবশ্য ঘটিতব্য গণবার্তা। শোনা যায় হাটে হাটে ঢেরা পিটিয়েও ডাকাতি হত। এই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকত ডাকাতির সর্তগুলি কি কি। কবে ও কখন ডাকাতি হবে। ডাকাতিতে বাঁধা দিলে কি ধরনের শাস্তি হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। 

সেকালের অনেক জমিদার বাবুরাও ডাকাত পুষতেন। তাগড়া জোয়ান লাঠিয়াল,সড়কিবাজ,বল্লমবাজদের নিয়ে গড়া ডাকাত দলগুলি জমিদারদের প্রভাব, প্রতিপত্তি ও সম্পত্তি বাড়াতে উৎসেচকের মত কাজ করতো। ডাকাতগুলিকে পরিচালনা করতেন মেজ, সেজ বা ছোটবাবুরা। কিন্তু আসল কনট্রোল ছিল বড়বাবুদের হাতে। আড়ালে থেকে তিনিই নাড়াচাড়া করতেন জীয়নকাঠি ও মরণকাঠি। মেজবাবু, সেজবাবু বা ছোটবাবুরা কখনো সখনো ফেঁসে গেলে পিছনে থেকেই তিনি আইনি প্যাঁচ পয়জারে রক্ষা করতেন ডাকাতি সংস্কৃতির আপ্ত সহায়ক ও অনুচরদের। সাক্ষ প্রমান ধ্বংস করা, আইনি জটিলতা তৈরি করা ও অচলাবস্থা সৃষ্টি করে অপরাধিকে আড়াল করা বা বেকসুর খালাস করাই ছিল এই সংস্কৃতির মূখ্য উদ্দেশ্য। একেবারে উপায় না থাকলে অগত্যা আইনের জালে আটকা পড়ে যেত দু একটা ডাকাত। তারাই ভোগ করত শাস্তির খাঁড়া। 

বর্তমান তৃণমূল সরকার এই লুপ্তপ্রায় লোকায়ত ধারাকে স্বমহিমায় জাগিয়ে তুলতে পেরেছে। চুরি, জালিয়াতি, বলাৎকার, ধর্ষণ ও মিথ্যাচারিতাকে একটা শৈল্পিক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পরেছেন। প্রমান করেছেন যে,ঠিক মত লালিত করতে পারলে এই ডাকাতি বিদ্যা বাংলার উর্বর মাটিতে ফুলে ফলে বংশ বিস্তার করতে পারে এখনো। তৃণ-গুল্ম দিয়ে ঢেকে দিতে পারে বাংলার শ্যামলিমা। ফুল হলেও তার গোঁড়ায় আশ্রয় নিতে পারে বিষাক্ত কীট,পতঙ্গ ও সরীসৃপ। বর্তমান তৃণমূল সরকার প্রবল প্রচার ও সদ্মভে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে,বাংলার মাটি অপরাধ ও অপরাধীদের দুর্জয় ঘাটি। একে ডাকাতি বিদ্যার ক্রমবিবর্তন বা অভিযোজন ও বলতে পারেন। 

হ্যাঁ,সুদীপ্ত সেনেরা ডাকাতেদের বংশধর। আধুনিক ছলাকলা বিদ্যায় পারদর্শী বর্তমান প্রজন্ম। গুণগত ও মূলগত পার্থক্য এই যে, সেকালের ডাকাতেরা বড়লোক বা জমিদারদের বাড়িতে ডাকাতি করতেন একালের সুদীপ্তরা মা-মাটি-মানুষের ন্যুন্যতম অবলম্বনটুকুও লুন্ঠন করে নেয়। সেকালের ডাকাতদের বড়দাদারা ছিলেন তাদের নিরাপদ আশ্রয়, একালের সুদীপ্তদের নিভৃত আস্তানা মমতাময়ী দিদির আটপৌরে আঁচল। সেকালের ডাকাতেরা রাতের বেলা ডাকাতি করতেন। সুদীপ্তরা দিনের বেলা প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে লুন্ঠন করে। 

সুদীপ্ত সেনেরা চিঠি দিয়েই ডাকাতি করেছেন। সেই চিঠির সঙ্গে ব্যবহার করছেন দিদি ও তার ভাই বোনদের ছবি। পরিবর্তনকামী মানুষেরা ডাকাতির এই পরিবর্তিত পরিভাষাকে সামাজিকীকরণ করে নিয়েছে। আত্তীকরণ করে নিয়েছেন। কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারেননি ঘাস ফুলে তার সাজানো বাগান নষ্ট করে ফেলবে। অজন্মা প্রেতে তার সোনার ক্ষেত শুষে খাবে। ফলে এই বুকফাটা ক্রন্দন, "দিদি আমাদের বাঁচান। আমরা আপনার মুখ দেখেই সারদায় টাকা রেখেছি। আজ আমরা সর্বহারা। নিজের ভিটেতেও থাকতে পারছিনা। যতক্ষণ টাকা ফেরত না পাব, আপনার বাড়ির সামনে থেকে নড়বোনা। তৃণমূল ভবনের সামনে থেকে উঠবোনা"। 

ডাকাতির অভিজ্ঞানের প্রথম পাঠ থেকে দিদি আউড়ে গেলেন,"আমি তো আপনাদের সারদায় টাকা রাখতে বলিনি । টাকা রাখার আগে ক্রস চেক করা উচিৎ ছিল"। 

দ্বন্দ্ব ঘনীভূত হয়। বিদ্বজ্জনেরা চুপ। তারা যে যার নিজের ঘর সামালাতে ব্যস্ত। দু একটা সিঁধেল ছাড়া আসে পাশে আর কেঊ নেই। 

দিদির বন্ধ ঘরের জানলা দিয়ে শোনা যায় কালি কীর্তনের সুর,"আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ্যামা,দোষ কারো নয় গো মা"।

যুগান্তরের ডাকাতি অভিজ্ঞান তাকে চাগিয়ে তোলে, "না মরবো না, আমি কিছুতেই মরবো না"। আবার ছবির প্রদর্শনী করবো। বুঝিয়ে দেব যে,একেবারে পাতি মাল ও প্রচারের জোরে কেমন কোটি টাকায় বিক্রি হয়। এই খানে চুপি চুপি বলে রাখি, তার ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে কিছু চোর তাদের প্রায়সমাপ্ত ছবি দিদির ক্যানভাসে রেখে যায়। দিদি মিডিয়ার সামনে ওই ছবিতে রং মাখান। এই চোরেদের মধ্যে অনেকে আবার রবীন্দ্রনাথের ছবি জাল করার অপরাধে কেস খেয়ে বসে আছেন।

চেতনাবচেতনের ঘোর। তুলি কোথায় গেল! ছবির ক্যানভাস কোথায়!
এ কী! তুলির বদলে কলসি আর দড়ি! রং এর জায়গায় চুন আর কালি! 
তাছাড়া যে এই ছবি কিনবে সে তো জেলে? 
"হে মা কালি, টাকা দে, না হয় দেখা দে মা"...। বাবা শিব! উপায় বলে দাও বাবা...তোমায় বেশি করে গাঁজা ...গাঁ...জা। ইউরেকা...ইউরেকা...। 
দম মারো দম, বোল শিবশম্ভ...

পরেরদিন ডাকাতির এক অমোঘ ঘোষণা। 
"৫০০ কোটি টাকার তোলা আদায় দিতে হবে আমাকে।
আপনারা বেশি বেশি করে সিগারেট খান। 
আমি জনগণের কিছু টাকা ফিরিয়ে দেব"। 

এই চিঠি বা বিজ্ঞপ্তি জারি হবে সরকারী পৃষ্ঠপোষকটায়। 
সুদীপ্তর নামে মামলা করে নয়? সারদার স্থাবর অস্থাবর অধিগ্রহণ করে নয়। সিগারেট, বিড়ি ও গাঁজার নেশা বৃদ্ধি করে, বুকের পাঁজরের মধ্যে ক্যানসারে বিষ ঢুকিয়ে এই টাকা আদায় হবে। সংসারের ১০% বরাদ্য যা শিশুদের খাদ্যে, শিক্ষায় ও অন্যান্য প্রয়োজনে ব্যয়িত হত, তা চিঠি বা বিজ্ঞপ্তি জারি করেই ডাকাতি হবে!!! 

নাগরাজ চন্ডাল 
ছাত না,বাঁকুড়া