Pages

Monday 5 August 2019

৩৭০ ধারা বাতিল একটি হটকারী সিদ্ধান্ত



সামনে তিন রাজ্যের নির্বাচন। ভারতের অর্থনীতি দেউলিয়া হওয়ার পথে। সবকা সাথ,  সবকা বিকাশের ধাক্কায় বেকারত্বের শীর্ষে পৌঁছে গেছে ভারত।  বেটি বাঁচাওএর উপর আঙুল তুলে আন্তর্জাতিক মহল ভারতকে মহিলাদের জন্য সব থেকে অসুরক্ষিত দেশবলে ঘোষণা করে দিয়েছে।  উন্নাওএর ধর্ষণ কান্ডের বিরুদ্ধে গোটা  দেশ যখন পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে; তখন মানুষের মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য পুলওয়ামা’র থেকেও বড় স্ট্রাইকের দরকার ছিল। আর সেই বড় স্ট্রাইকই হল ৩৭০ ধারা বাতিল এবং বৃহত্তর কাশ্মীরকে তিনটি টুকরো করে দেওয়ার চক্রান্ত।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ৩৭০ ধারার মধ্যে কাশ্মীরের জনগণ ভারতের সঙ্গে থাকার জন্য যে চুক্তি করেছিলেন তা খারিজ করে দেওয়ার অর্থ হল কাশ্মীরের ভারতভুক্তিকে অস্বীকার  করা এবং অখণ্ড কাশ্মীরের উপরে ভারতের দাবী ছেড়ে দেওয়া। সেনা অভ্যুত্থানে কাশ্মীরের একটি অংশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে পারবে কি না তা অনেক জটিলতার সুতোয় বাঁধা। এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণটি রয়েছে কাশ্মীরের জনগণের হাতে। তাঁদের রাষ্ট্রসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন গণভোটের মাধ্যমে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার রয়েছে। এসব জানা সত্ত্বেও মোদি বাহিনীর ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে তিন রাজ্যের নির্বাচনকে প্রভাবিত করা ছাড়া  আর কিছু নয়।  

অখণ্ড ভারতে দ্বিজাতি তত্ত্ব
নামক বিভাজিকা জাতির কাছে এক চরম ট্রাজেডি। বাবা সাহেব  আম্বেদকর অখণ্ড ভারতকে একটি জাতিতে উন্নীত হতে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জিন্না, নেহেরু, প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদ,  গোপালাচারী এবং গান্ধীর ষড়যন্ত্রের কারণেই এই দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রবল হয়ে ওঠে। তিনি ভারত বিভাজনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভাবেই বলেছিলেন যে, “মিঃ গান্ধী, গোপালাচারী যদি পাকিস্তান স্বীকার করে নেয়, সর্বভারতীয় কংগ্রেসও তা যদি স্বীকার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাতে কি কোন সুফল হতে পারে যদি পাঞ্জাব বা বাংলার হিন্দুগণ তার বিরোধিতা করেন? সত্য কথা ‘পাকিস্তান হোক” এই কথা বোম্বে বা মাদ্রাজের লোকের বলার বিষয় নয়। এই কথা তাঁরাই বলবেন যারা এত বৈপ্লবিক এবং আমূল পরিবর্তনের ফলাফল ভোগ করবেন। সেই জনগণের উপরই সিদ্ধান্তের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া উচিৎ যাদের জীবন এবং কর্ম এই ভূখণ্ডের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত। আমার মনে হয়, পাকিস্তান প্রদেশগুলির জনগণের সিদ্ধান্তই পাকিস্তান সমস্যা সমাধানের সর্বাপেক্ষা নিরাপদ শাসনতান্ত্রিক পদ্ধতি”। (Dr. B.R.Ambedkar/ Pakistan or Partition of India)

দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি দেশ হবে স্থির হলে  প্রিন্সলি স্টেটগুলি বিশেষ করে হায়দরাবাদ, জুনাগড় এবং জম্মু-কাশ্মীরকে   তিনটি অপশান দেন মাউন্ট ব্যাটেন। তাঁদেরকে ৭২দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে অনুরোধ করা হয়। এই তিনটি অপশন ছিল     
) তাঁরা কি ভারতভুক্ত হতে চান ?
) তাঁরা কি পাকিস্তানভুক্ত হতে চান?
) তাঁরা কি স্বাধীন রাস্ট্র গঠন করতে চান?
প্রিন্সলি এস্টেটের অনেকেই মনে করেছিলেন তাদের জন্য আভ্যন্তরীণ শাসনের জন্য আলাদা সংবিধান রচিত হবে কিন্তু বাবা সাহেব অখণ্ড ভারতের কথা মাথায় রেখে এগুলি খারিজ করে দেন।

এই সময় হায়দরাবাদের নবাব নিজাম পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হবার জন্য মনস্থির  করেন। পাকিস্তানও এই দাবী মেনে নেয়। সর্দার প্যাটেল ভৌগলিক কারণের জন্য পাকিস্তানকে হায়দরাবাদের উপর দাবী ছাড়তে বলেন বদলে কাশ্মীরকে ছেড়ে দেবার প্রস্তাব দেন। কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ হায়দরাবাদের দখল নিয়ে নেয়।

রাজা হরি সিং দুটি দেশের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে স্বাধীন থাকার জন্য মনস্থির করেন। ৩০শে অক্টোবর ১৯৪৭ একটি নির্দেশিকা জারি করে শেখ আবদুল্লাকে প্রশাসনিক প্রধান করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে সংবিধান রচনার জন্য নিয়োগ করেন। ১৯৪৮ এর ৫ই মার্চ কাশ্মীরের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন শেখ আবদুল্লা। তিনি একটি জাতীয় গণপরিষদ গঠন করে কাশ্মীরের জন্য একটি স্বতন্ত্র সংবিধানের খসড়া রচনা করার সিদ্ধান্ত নেন।   
বাবা সাহেব ডঃ বিআর আম্বেদকর ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের হাতে ভারতের সংবিধান অর্পণ করেন। এই সভায় কাশ্মীরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শেখ আবদুল্লা, মির্জা এমএ বেগ, এমএস মাসুদি এবং মোতিলাল বিগরা। বাবা সাহেব রচিত এই সংবিধানে কাশ্মীর সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই। তিনি একথা জানতেন যে কাশ্মীর একটি আলাদা রাষ্ট্র। তাঁরা কি ভাবে চলবে তার সিদ্ধান্ত নেবেন কাশ্মীরের জনগণ।  তাছাড়া তিনি কোন প্রকার  অধীনতায় বিশ্বাসও করতেন না।  Since Dr Ambedkar had the conviction of mind that when deciding destinies of nations ,personnel dignities of people, parties or leaders ought to count for nothing. He was against hero worship particularly in politics. He maintained it during all his life(Dr. H.R. Phonsa/ Dr. Ambedkar and his associates)

কিছুদিনের মধ্যেই কাশ্মীরের উপর দুর্যোগ ঘনিয়ে আসে। কাশ্মীর দখল করার জন্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং ভারতের সেনাবাহিনী এগিয়ে আসতে থাকে। ২৭শে জুলাই, ১৯৪৯ কাশ্মীরের দখল নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। কাশ্মীরের দুই তৃতীয়াংশ দখল করে নেয় ভারত। এক তৃতীয়াংশ দখল করে নেয় পাকিস্তান। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হরি সিং ইউনাইটেড নেশনকে একটি অভিযোগ পত্র পাঠান। এর ফল স্বরূপ ২৭শে জুলাই ১০৪৯ ইউনাইটেড নেশন ভারত-পাকিস্তানকে যুদ্ধ বন্ধ করার আদেশ দেয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কাশ্মীরের জনগণই একটি গণভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ।
গোপালস্বামী আয়াঙ্গার ছিলেন নেহেরু মন্ত্রীসভার কেবিনেট মন্ত্রী। তিনি গোপালস্বামী আয়াঙ্গার কাশ্মীরকে অস্থায়ী ভাবে  ভারতের সংবিধানের আওতায় আনার জন্য একটি ড্রাফট রচনা করেন। এই ড্রাফটি ছিল ৩০৬(এ)। এটি ছিল সম্পূর্ণ ভাবে পণ্ডিত নেহেরু দ্বারা এবং মৌলনা আজাদের সমর্থিত একটি মৌখিক সিদ্ধান্ত। গৃহ মন্ত্রী সর্দার প্যাটেলও আর্টিকেল ৩০৬ এর বিরোধিতা করেননি। ১৯৫২ সালের  ২৯শে ডিসেম্বর কানপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী জানান যে, আর্টিকেল ৩০৬ জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তির জন্য যদি একটি দরজা হয় তবে এই আর্টিকেলকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করছি। এই আর্টিকেল ৩০৬ () এবং ৩০৬(বি) পুনরায় ড্রাফটিং হয়ে আর্টিকেল ৩৭০ পরিণত হয়।          

খসড়া সংবিধানের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংসদ বসে কাশ্মীরেই। বাবা সাহেব আম্বেদকর এখানে ১৫দিনের ছুটি কাটান এবং কাশ্মীরের মানুষের সাথে মেলামেশা করে বুঝতে চান এই নতুন ব্যবস্থায় তাঁদের উপরে কেমন প্রভাব ফেলবে। তাঁদের উন্নয়নে কতটা সায়ক হবে। নেহেরু তড়িঘড়ি করে বাবা সাহেবকে দিল্লী ফিরে আসতে বলেন।     
“ELECTION MANIFESTO OF THE SCHEDULED CASTES FEDERATION”  এর খশড়া রচনা করতে গিয়ে বাবা সাহেব বর্ণনা করেন যে,We refused Dominion Status. We became an Independent Country. Subsequently we agreed to remain in the British Commonwealth”  
সেডুল্ড কাস্ট ফেডারেশনের ইলেকশন ইশতেহারের বাবা সাহেব দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রতিরক্ষা এবং প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সম্পর্কের নানাদিকে আলোকপাত করেন। ভারতের বৈদেশিক নীতির উপর আলোকপাত করে তিনি বলেন যে, It is a fact that on the date of India’s Independence all nations were the friends of India and wished her well. Today the situation is just the reverse. India has no friends. All nations are her adversaries, if not actual enemies. This ghastly change in the situation is the result of the Foreign Policy of the Congress Government. This change of front by foreign nations towards India within the last three years is due to India’s policy regarding Kashmir, regarding the admission of Communist China in the United Nations Organisation and in regard to the Korean War. (z:\ ambedkar\vol-017\vol17-01-05.indd MK SJ+YS 11-10-2013/YS-19-11-2013 395)

এই খশড়া ইস্তেহারের ২৬ নাং ধারায় কাশ্মীর প্রসঙ্গের উপর আলোচনা করেন বাবা সাহেব। তিনি এই ইস্তেহারে ঘোষণা করেন যে কাশ্মীর বিষয় নিয়ে কংগ্রেস সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছে তা সেডুল্ড কাস্ট ফেডারেশনের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। This policy if continued will lead to a perpetual enmity between India and Pakistan, and the possibility of war between the two countries. The Scheduled Castes Federation believes that it is essential for the good of both countries that they should be good and friendly neighbours. For this purpose the proper policy to adopt towards Pakistan should be based upon two considerations. (1) There should be no talk about the annulment of the partition of India. Partition should be accepted as a settled fact not to be reopened and that the two countries to continue as two separate sovereign States. (2) That, Kashmir to be partitioned– the Muslim area to go to Pakistan (subject to the wishes of the Kashmiries living in the Valley) and the non-Muslim area consisting of Jammu and Ladhak to come to India”. (z:\ ambedkar\vol-017\vol17-01-05.indd MK SJ+YS 11-10-2013/YS-19-11-2013 396)

এখানে পরিষ্কার করে বোঝা যাচ্ছে যে, নেহেরু, মৌলনা আজাদ, শেখ আবদুল্লাদের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে যে গোপন আঁতাত শুরু হয়েছিল তার সাথে বাবা সাহেবের বিন্দুবিসর্গ যোগাযোগ ছিল না। এই গোপন আঁতাত এত প্রগাড় হয়ে উঠেছিল যে নেহেরু বাবাসাহেব আম্বেদকরের দপ্তরকে কর্মহীন করে তুলেছিল। তাঁর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। অদ্ভুত ভাবে নেহেরু তাঁর সাথে একটি শীতল সম্পর্কের বাতাবরণ গড়ে তুলেছিলেন।
উপায়ান্তর না ভেবে বাবা সাহেব হিন্দু কোড বিল পাশ করার জন্য নেহেরুকে চাপ দিতে শুরু করলেন। নেহেরু নানা অজুহাতে ভারতের নারীদের অধিকার খর্ব করার জন্য এই বিল পাশ করাতে চাইলেন না।  বাবা সাহেব মাতৃ জাতীর অধিকার খর্ব হতে দেখে ১৯৫১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর নেহেরু মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে এলেন।
সম্প্রতি মোদী বাহিনী আর্টিকেল ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতভুক্তি স্টাটাস ধ্বংস করে দিলেন। পার্লামেন্টে বিপুল বিতণ্ডা হল। অনেকে ওয়াক আউট করলেন। অনেক পার্টি ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে মত দিলেন। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম যে বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদেরাও এই ৩৭০ ধারা ধ্বংস এবং সামরিক আগ্রাসনের পক্ষে বিজেপিকে সমর্থন দিল !!
অদ্ভুত ভাবে গদি মিডিয়াগুলি এই হটকারী সিদ্ধান্তের সাথে বাবা সাহেবের নাম জড়িয়ে প্রচার শুরু করল যে, বাবা সাহেব নাকি আর্টিকেল ৩৭০ ধারার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন !!!  নানা জন নানা ভুয়ো প্রাচার নমুনা তৈরি করে সেটিকে বাবা সাহেবের উক্তি বলে চলাতে শুরু করলেন। তাঁর নমুনা এখানে তুলে ধরছি এবং সংশ্লিষ্ট প্রচারকদের সাবধান হতে বলছি।   

ভুয়ো দলিল নাং ১) "You wish India should protect your borders, she should build roads in your area, she should supply you food grains, and Kashmir should get equal status as India. But Government of India should have only limited powers and Indian people should have no rights in Kashmir. To give consent to this proposal, would be a treacherous thing against the interests of India and I, as the Law Minister of India, will never do it."



মোদী বাহিনী আর্টিকেল ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে কার্যত সংবিধানহীন অধিকৃত এবং উপদ্রুত এলাকাতে পরিণত করল। কংগ্রেস ভারতের সংবিধানের সাথে ৩৭০ ধারা যুক্ত করে যেমন ভুল করেছিল সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য এটি বাতিল করেও হটকারি সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার।

3 comments:

  1. I decided that I would rest easier if I tried this. It is how to keep relationship with it working. When I have shown to you this technique we will be finished. As the name implies, that Keto BodyTone concentrates on my maneuver. Recently, it is all on that moot point because someone will lend you money. Others don't presume this process actually matters at all. That is where the rubber meets the road.

    Prostate 911
    Empowered Boost
    Keto Plus latam
    Nolatreve Anti Aging
    Peau Jeune Creme
    BitCoin Era Chile
    Crypto Engine Reviews
    OkoWatt Energy Saver
    OxyBreath Pro Mask

    ReplyDelete
  2. Here are the certain facts.

    You won't know everything so ask for assistance. Does that seem like a lot of work? You don't have to just use Gadgets. I find Ecommerce really refreshing and

    encouraging. Look around and locate the Ecommerce that fits your requirements best before you make a choice. I am experienced in many aspects of Gadgets.




    AOL support number
    powervolt energy saver

    ReplyDelete

  3. Can someone else feel the appreciation for Ecommerce like I do? Gadgets was that much fun. They found that Gadgets tends to get a lot more traction than Ecommerce. That is not extremely important now.



    PowerPro Energy Saver
    Mosquitron
    Buzz B Gone

    ReplyDelete