আমাদের নিবেদন
পত্র ও নির্দেশিকা
কান্ধামালের দানা মাঝির শবযাত্রা থেকে আমাদের অনুভূত হয়েছে
যে ভারতবর্ষে এখনো জাতপাতের ভেদনীতি সমান ভাবে কার্যকরী। যদিও গর্বের সাথে
স্বাধীনতার ৬৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওড়ানো
হয়েছে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা। আমরা সচেতন ভাবেই অনুভব করেছি যে একটি মনুবাদী
সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই এই বিভেদজনিত ঘৃণা, বঞ্চনা হিংসা এবং প্রতিহিংসার বহর উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। স্বঘোষিত স্বয়ংশাসকদের হাতে নিহত হয়েছেন গোবিন্দ পানসারে, নরেন্দ্র দাভোলকর এবং এম এম কুলবর্গিদের মত মানুষ।
প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় সম্মান ফেরত দিয়েছেন বহু গুনিজন। ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর দাদরীতে ঘরে গো-মাংস রাখার অজুহাতে হত্যা করা হয়েছে মহম্মদ একলাখকে। ২০১৬ সালের ১৭ই জানুয়ারীতে প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র রোহিত ভেমুলাকে। ১০ই জুলাই ২০১৬ কান্ধামালের আড়াই বছরের বাচ্ছা সহ ৬জন দলিতকে (এসসি/এসটি) সাজানো এনকাউন্টারে মেরে ফেলার ঘটনাতে প্রমানিত হয়েছে যে দলিত-বহুজনের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। উনার বালুভাই সহ চার দলিত যুবকের উপর গো-রক্ষক সমিতির নির্মম অত্যাচার বুঝিয়ে দিয়েছে আইন শৃঙ্খলা আর প্রশাসনের হাতে নেই, স্বঘোষিত স্বয়ং সেবকেরাই এ দেশের হর্তাকর্তা।
প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় সম্মান ফেরত দিয়েছেন বহু গুনিজন। ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর দাদরীতে ঘরে গো-মাংস রাখার অজুহাতে হত্যা করা হয়েছে মহম্মদ একলাখকে। ২০১৬ সালের ১৭ই জানুয়ারীতে প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র রোহিত ভেমুলাকে। ১০ই জুলাই ২০১৬ কান্ধামালের আড়াই বছরের বাচ্ছা সহ ৬জন দলিতকে (এসসি/এসটি) সাজানো এনকাউন্টারে মেরে ফেলার ঘটনাতে প্রমানিত হয়েছে যে দলিত-বহুজনের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। উনার বালুভাই সহ চার দলিত যুবকের উপর গো-রক্ষক সমিতির নির্মম অত্যাচার বুঝিয়ে দিয়েছে আইন শৃঙ্খলা আর প্রশাসনের হাতে নেই, স্বঘোষিত স্বয়ং সেবকেরাই এ দেশের হর্তাকর্তা।
ঘরবাপসি, রামজাদা-হারামজাদা, দুর্গা-মহিষাসুর, ভারত মাতা কি
জয়, দেশপ্রেমী-দেশদ্রোহী এরকম হাজারো একটা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারিত করে দেশকে রক্তাক্ত
গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে বর্তমান সরকার। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাট থেকে
গুয়াহাটি সর্বত্র চলছে স্বয়ং সেবকদের সর্বনাশা উল্লাস। আর সর্বক্ষেত্রেই আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছে দলিত, শোষিত,
নিপীড়িত বহুজন মানুষ।
দলিত-বহুজনের উপর এই
আক্রমণের কারণঃ
আমরা জানি যে মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৯২% জমির মালিকানা রয়েছে
মাত্র ১৫% মানুষের হাতে। বাকি মাত্র ৮% জমির মালিকানা রয়েছে শ্রম এবং উৎপাদনের
সাথে যুক্ত ৮৫% দলিত-বহুজন মানুষের কাছে। এই জমির অধিকাংশ আবার জলাভূমি, বনভূমি এবং চারণভূমি
সংলগ্ন। মূলত এই জমিকে কেন্দ্র করেই এখনো টিকে আছে দলিত-বহুজন মানুষের শিল্প,
সংস্কৃতি, লোকাচার ও ইতিহাস। প্রান্তিক এই মানুষেরা নিজেদের অস্তিত্বের সাথে নিবিড়
ভাবে জুড়ে নিয়েছে প্রকৃতিকে। জীবন দিয়ে রক্ষা
করছে জৈব বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক সম্পদ। আমরা সচেতন ভাবেই লক্ষ্য করছি যে এই জমি, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং
খনিজ সম্পদের উপরেই কবজা জমাতে উঠে পড়ে লেগেছে দেশী-বিদেশী বনিকমহল। এরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে এমন সরকার গঠন
করছে যাতে তাদের স্বার্থ সিদ্ধ হয় এবং সরকারকে
প্রভাবিত করে সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বাজারের উপর দখল নিতে পারে। এভাবেই স্বৈরাচারী সরকার এবং বানিয়াদের যৌথ
চক্রান্তের ফলে এক নব্য সামন্ততন্ত্রের আবির্ভাব হয়েছে ভারতবর্ষে। উৎপাদন এবং মুনাফার সমস্তটাই লুটে নিচ্ছে এই সব নব্য সামন্তরা। রামদেব, আদানি,
রিলায়েন্স, টাটা, বৈদিক ভিলেজ, বেদান্ত সহ আরো
অনেকেই এই নব্য সামন্তদের প্রতিভূ। সরকার উন্নয়নের নামে
পাহাড়, জঙ্গল, জলভূমি এবং দলিত-বহুজনের হাতে থাকা কৃষি জমিকে কেড়ে নিয়ে এই সকল
সামন্ত প্রভূদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে
প্রাকৃতিক সম্পদ, ধ্বংস হচ্ছে জীব বৈচিত্র, ধ্বংস হচ্ছে ইতিহাস, ধ্বংস হচ্ছে
বিবিধের মাঝে মহামিলনের চিরায়ত সংহতি। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূমিপুত্ররা সহায়সম্বলহীন এবং
বেনাগরীক হয়ে স্রোতের শ্যাওলার মত ভেসে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছে অথবা সামন্ত প্রভু এবং
ধর্ম ব্যবসায়ীদের দিব্য দাসে পরিণত হয়ে প্রসাদান্ন খেয়ে জীবনযাপন করছে। আসলে এই দিব্য
প্রভূ, বানিয়া এবং মনুবাদীদের ত্রিফলা ষড়যন্ত্রের কলে পেষাই হচ্ছে দলিত-বহুজন
মানুষ। এদের উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য চাই সস্তা
শ্রমিক, সস্তা মাল। বহুজন মানুষ খাদ্যের উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে সস্তা শ্রমিকের
যোগান বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় দিব্য প্রভূদের প্রসাদের পরিমাণ। তাই
জনস্বার্থের ধুয়া তুলে নরমেধের এই বিপুল আয়োজন। সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গণতন্ত্রকে
আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে ভারত নির্মাণের এই
ঢক্কানিনাদ।
দলিত-বহুজনের উপরে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে যে অকথ্য নিপীড়ন
সংঘটিত হচ্ছে তা আরো ভয়াবহ।
·
জাতীয় পরিসংখ্যান
থেকে আমরা জানতে পারছি যেঃ
·
শুধু দলিত হওয়ার
কারণে প্রতি ১৮ মিনিটে ১ জন হেনস্থার শিকার হচ্ছে।
·
প্রতিদিন ৩ জন দলিত
নারী ধর্ষিতা হচ্ছেন।
·
প্রতিদিন ২ জন
দলিতকে হত্যা করা হচ্ছে।
·
প্রতিদিন ২টি দলিত
বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
·
সপ্তাহে ৬ জন দলিত
অপহরণের শিকার হচ্ছে।
·
প্রতি ৩টি
বিদ্যালয়ের মধ্যে ১টিতে দলিত ছেলেমেয়েকে আলাদা বসানো হয়।
·
প্রায় ২৮% দলিত
থানায় ঢুকতে পারে না।
·
৭০% দলিতের সাথে
উঁচু জাতের লোকেরা খাবার খায় না।
·
৭০% দলিত মেয়েরা
নিরক্ষর। পতিতালয়ে দলিত
মেয়েদের সংখ্যা ৯০%।
·
গ্রামাঞ্চলে ৪৪.৮%
এসটি, ৩৩.৮% এসসি এবং ৩০.৮% মুসলিম দরিদ্র সীমার নীচে বাস করে। ৫৮% দলিত শিশু অপুষ্টিতে ভোগে।
চুনি কোটাল থেকে রোহিত ভেমুলা, দাদরী থেকে
কালাহাণ্ডি মৃত্যু উপত্যকায় আমাদের মিছিলঃ
“The reasons that led Chuni, a unique woman, to take her own life, are
palpable ones and she became a victim of sheer injustice and callousness of the
university authorities and the West Bengal government” (The Statesman,
23/08/1992)
বলতে দ্বিধা নেই যে চুনি কোটালের মৃত্যু ছিল
ব্রাহ্মন্যবাদী রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার চরম দৃষ্টান্ত। চুনির মৃত্যুতে প্রমানিত
হয়েছিল যে ব্রাহ্মন্যবাদ ভেদভাব, ঘৃণা ও নরহত্যার ঐতিহাসিক মার্গ। ব্রাহ্মন্যবাদ
কখনোই সাম্য এবং বৈচিত্রের মধ্যে
সহাবস্থান মেনে নেয় না। ব্রাহ্মন্যবাদ মনুর শাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যেখানে
দলিত-বহুজনের ভাগিদারী এবং স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা ব্রাহ্মণ সমাজের কাছে উতকন্ঠা ও
উদ্বেগের কারণ হিসেবে বর্ণিত। ২০১৬ সালের ১৭ই জানুয়ারী রোহিত ভেমুলার
প্রাতিষ্ঠানিক হত্যাকাণ্ডে আবার প্রমানিত
হয়েছে যে ব্রাহ্মন্যবাদ ভারত বিধ্বংসী বিষ এবং এই বিষের প্রভাব এখনো সমান ভাবে কার্যকরী।
সমাজ পাল্টালেও ব্রাহ্মন্যবাদের ঘৃণ্য প্রভাব একেবারে পাল্টায়নি বরং উপযুক্ত
পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় ইন্ধন পেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ভারতবর্ষের সমগ্র শরীরে।
মুজাপফরনগর, দাদরি, উনা, কালাহান্ডি সর্বত্র চলছে মৃত্যুর মিছিল। ভারত মাতার মৃত
শরীর উঠে আসছে দানা মাঝিদের শক্ত কাঁধে। উন্নত শির, শক্ত হাত, শক্ত গতর। পাথরের মত
কঠিন। গো-রক্ষকদের নৃশংস ডাণ্ডাকেও ক্লান্ত করে ছেড়েছে প্রতিরোধের এই শক্ত গতর।
চুনি কোটালের সময় থেকে যে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল আজ তা উচ্চকিত হয়ে এক ঘূর্ণি ঝড়ের
আকার নিয়েছে। ইউনেস্কোর বিশেষ সভায় ধিক্কার জানানো হয়েছে ভারতের ব্রাহ্মণ্য শাসন
ব্যবস্থাকে। ভারতের পার্লামেন্টে ঝড় বয়ে গেছে। ধিক্কার জানানো হয়েছে আপ্পা রাও,
বাঙ্গারু দত্তাত্রেয় ও স্মৃতি ইরানীকে। উনার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
চর্মকার ভাইদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে দলিত মুসলিম ভাইয়েরা। তাদের সম্মিলিত বিপুল
প্রতিরোধের কাছে নতিস্বীকার করে গদি ছাড়তে হয়েছে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে। ভারতের
প্রতি কোনে কোনে সংঘটিত হয়েছে দীপ্ত মিছিল। দেশের জনগণের মধ্যে সংহতির চেতনা
জাগ্রত কারার জন্য জাতপাতের ভেদভাবকে উপেক্ষা করে মিছিলে মিলিত হয়েছে অগণিত মানুষ।
তারা দীপ্ত ভাবে ঘোষণা করেছে ব্রাহ্মন্যবাদ নিপাত যাক, জাতপাত নিপাত যাক, মনুর
শাসন ধ্বংস হোক। তারা হুঁশিয়ার করেছে সেই সব দাঙ্গাবাজদের যারা নিজের হাতে আইন
তুলে নিয়ে ভারতীয় শাসনব্যবস্থাকে ভেঙ্গে ফেলার চক্রান্তে সামিল হয়েছে। তারা দাবী করেছে যে সব কাজের জন্য জাতপাত
নির্ণয় করা হয় সেই কাজ আর তারা করবেনা। তারা দাবী করেছে সরকারকে তাদের প্রাপ্য জমি
ফেরত দিতে হবে এবং সেই জমিতে খাদ্য উৎপাদন
করে তারা মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করবে। তারা ঘোষণা করেছেন যে বাবা সাহেব ডঃ বি আর
আম্বেদকরের প্রদর্শিত পথেই তারা এগিয়ে চলবে এবং ভারতবর্ষকে এক কল্যাণকারী রাষ্ট্র
হিসেবে গড়ে তুলবে।
আমাদের
প্রতিবাদের ভাষাঃ
“অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের অন্তরায় সমস্ত উপাদানগুলিকে
দূর করতে হবে। আমরা জমিদারতন্ত্রের দখলদারী ও ভূমিহীন সর্বহারা শ্রমিক দেখতে চাইনা। আদর্শ অর্থনীতির ভিত্তি হল স্বাধীনতা ও কল্যাণ। পুঁজিপতিদের
দ্বারা পরিচালিত সামজিক ও অর্থনৈতিক
ভারসাম্যহীন উৎপাদনের পরিসমাপ্তি ঘটাতেই হবে”। অবৈধ অধিগ্রহণের
পক্ষে আম্বেদকরের এই ঘোষণা এবং তার রচিত সংবিধান নব্য সামন্তদের কাছে এক বড় বাঁধা।
আশার কথা, জনগণ ক্রমশ উপলব্ধি করতে শুরু করেছে যে ভারতীয় সংবিধান
তাদের স্বাধিকারের রক্ষার পক্ষে এক দুর্ভেদ্য রক্ষাকবজ। এই রক্ষাকবজের জন্যই দলিত বহুজনের জমি জোর করে অধিগ্রহণ
করা যায় না। কোন স্বৈরাচারী সরকার জোর করে জমি অধিগ্রহণ করলে ন্যায়পালিকা তাকে
ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। দলিত-বহুজন মানুষ বুঝতে পারছেন যে ভারতীয় সংবিধানের স্রষ্টা
বাবা সাহেব আম্বেদকর এমন এক মহাশক্তির আঁধার যিনি সীমাহীন প্রজ্ঞা ও আন্তরিকতা
দিয়ে মানুষকে সমমর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। মানুষ বুঝতে পারছে যে আম্বেদকরের নির্দেশিত
ভাগিদারী দর্শনের পথ ধরেই প্রকৃত পক্ষে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমাদের লক্ষ্যঃ
·
ভারতে
গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
·
মানবাধিকার
সুরক্ষিত করা।
·
দলিত-বহুজনের
মধ্যে সচেতনতা ও সংহতি অটুট করে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
·
আইনের শাসন বলবত
করে তোলার জন্য নাগরিক সমাজকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য উৎসাহিত করা।
·
ভারতের সংবিধানের
প্রস্তাবনা অনুসারে জাতপাত মুক্ত ভারত এবং ন্যায়, সাম্য, স্বাধীনতা ও
ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা।
আমাদের দাবীঃ
·
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য “আন্টি কম্যুনাল
ভায়োলেন্স বিল” পাশ করা।
·
এসসি/এসটি
আট্রোসিটিস অ্যাক্ট ১৯৮৯কে কঠোর ভাবে কার্যকরী করা।
·
সরকারী উচ্চপদে
প্রমোশনের জন্য এসসি/এসটি, ওবিসি বিল পাশ করা।
·
অবিলম্বে রোহিত
আইন চালু করা যাতে আর কোন ছাত্রছাত্রীকে আত্মহত্যা না করতে হয়।
·
রোহিতের মৃত্যুর
জন্য দায়ী সমস্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা।
·
দেশপ্রেমের নামে
গুন্ডামী বন্ধ করা।
·
এসসি/এসটি, ওবিসি
শংসাপত্র পাওয়া সুনিশ্চিত করা।
·
এসসি/এসটি,
ওবিসিদের জন্য সমস্ত ব্যাকলগ চাকরীগুলি অবিলম্বে পূরণ করা।
·
২০০৩ সালের
নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে সমস্ত উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দান সুনিশ্চিত করা।
আমাদের কর্মসূচীঃ
·
প্রচার অভিযান
সংগঠিত করা।
·
সভা সমাবেশ ও
অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে কর্মসূচীগুলিকে বলবত করার জন্য আন্দোলন সংঘটিত করা।
·
একটি চালিকা সমিতি
গঠন করে আন্দোলন কর্মসূচীর রণনীতি এবং রণকৌশল নির্ধারণ করা।
·
সম মানসিকতা
সম্পন্ন সংগঠগুলিকে নিয়ে একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন মঞ্চ এবং নেটওয়ার্ক
গড়ে তোলা।
·
বহুজন মনিষীদের স্মরণীয় দিবসগুলি পালন করা এবং
মানুষকে ন্যায়, সাম্য, স্বাধীনতা ও ভ্রাতৃত্ব প্রেমে আবদ্ধ করে বহুজন সেবিত
ভারতবর্ষ গড়ে তোলা।
দলিত-বহুজন স্বাধিকার
আন্দোলনের পক্ষে
শরদিন্দু উদ্দীপন
জয় ভীম, জয় ভারত
No comments:
Post a Comment