প্রস্তাবটি নিয়ে সুতো খুলছি এই কারণে যে
ধার্মিক লোকেদের কাছে স্বর্গ প্রাপ্তিই জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। এখানে
পৌঁছতে পারলেই আত্মার পরম শান্তি হয়। পুনঃ পুনঃ জন্ম নিতে হয় না। জঠর
যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। অসুখ, বিসুখ, জরা, ব্যাধি, মৃত্যুর হাত থেকে
চিরকালের জন্য মুক্তি ঘটে। এখানে অনন্ত যৌবন। উচ্ছল প্রেম। রূপের খোলা
বাজার। উর্বশী, অপ্সরাদের সাহচর্য। কিন্নর কিন্নরীদের নুপুর নিক্কন। সুরা,
মদিরার অঢেল ফোয়ারা। সমস্ত জৈবিক অনুভূতি দিয়ে জীবনকে চেটেপুটে আস্বাদন
করার এক অবিকল্প লীলা ক্ষেত্র এই স্বর্গ। যদি আপনি স্বর্গ অভিলাষী হন এবং
স্বর্গ প্রাপ্তিকেই একমাত্র অভীষ্ট মনে করেন তবে নানা উপায়ে আপনার জন্য
স্বর্গের দরজা খোলা রাখা হয়েছে। আপনি শুধু জেনে নিন কোন দরজা দিয়ে আপনি
স্বর্গে যেতে চান?
স্বর্গে যাবার প্রথম রাস্তাঃ
পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি ধর্মই মানুষের জন্য স্বর্গ বাসের ব্যবস্থা করেছে। আমি শুধু ব্রাহ্মণ ধর্মের ব্যবস্থাগুলি আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি। আপনি আপনার সাধ্য মত খাপ খাইয়ে নিন,ব্যবস্থা অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করুণ, নির্দেশ মত কাজ করুণ তবেই দেখবেন স্বর্গে যাবার ব্যবস্থা আপনার পাকা হয়ে গেছে। তবে একটি কথা প্রথমেই বলে রাখি যে স্বর্গে যাবার একেবারে প্রাথমিক শর্ত হল মৃত্যু। কঠিন হলেও এই শর্তটি আপনাকে পূরণ করতেই হবে। সশরীরে স্বর্গে যাবার রাস্তা আপনার জন্য খোলা নেই।
স্বর্গে যাবার দ্বিতীয় রাস্তাঃ
এই শ্রাদ্ধ ব্যপারটি আপনার মৃত্যুর পরে ঘটবে। আর একজন বামুন পুরুত এসে আপনার চোদ্দ পুরুষের আদ্যশ্রাদ্ধ করে আপনাকে স্বর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। এই বামুন আপনার বাড়িতে ঢুকে আপনার ছেলে মেয়েদের দাস (গোলাম) হিসেবে সম্বোধন করবে। তিনি জানাবেন যে আপনি মরে গিয়ে এখন প্রেতলোকে নানা জ্বালাযন্ত্রণায় ছটফট করছেন। আপনার বিদেহ আত্মা মুক্তির জন্য হাহাকার করে বেড়াচ্ছে। ব্রাহ্মণকে নানা প্রকার দান ধ্যান করলেই আপনার আত্মার শান্তি হবে এবং আপনার জন্য স্বর্গের দ্বার খুলে যাবে।
স্বর্গে যাবার তৃতীয় রাস্তাঃ
আদ্যশ্রাদ্ধের পরে বামুনকে ভোজন না করালে আপনার আত্মার স্থায়ী স্বর্গবাস হবেনা। আপনার ছেলেমেয়েদের এ কাজটি করতেই হবে। আপনি যদি কিছু পয়সা কড়ি রেখে আসেন তো ভাল, নতুবা সোনাদানা অথবা জমিজমা বিক্রি করেও এই ভোজন করাতেই হবে। যদি তারা শাকান্ন ভোজন করায় তো আপনার ৩ মাস স্বর্গ বাস হবে। যদি মাছ খাওয়ায় তবে ৬ মাস, যদি মোষের মাংস খাওয়ায় তবে ১০ মাস, যদি পাখির মাংস খাওয়ায় তবে ১ বছর, যদি গরুর মাংস খাওয়ায় তবে ১২ বছর, যদি কালশিরা মৃগ, গণ্ডার, লাল ছাগলের মাংসের সাথে মধু মিশ্রিত খাদ্য খাওয়ায় তবে অনন্ত কাল আপনার স্বর্গবাস হবে।
স্বর্গে যাবার চতুর্থ রাস্তাঃ
আজ্ঞ হ্যা এটিই বোধ হয় সব থেকে কঠিন এবং অন্তিম রাস্তা। একটি ভয়ঙ্কর বেগবান নদী বৈতরণী। পচারক্তমাংশে পরিপূর্ণ দুর্গন্ধযুক্ত ও ফুটন্ত জলের মধ্য দিয়ে একটি গরুর লেজ ধরে আপনাকে পার হতে হবে। আপনি যদি পূন্যবান হন পার হয়ে স্বর্গে যেতে পারবেন আর যদি পাপী হন তবে নির্ঘাত যমের দুয়ার নরক।
কি পাবেন স্বর্গে ?
দেখবেন চির বসন্তে প্রস্ফুটিত পারিজাত ফুলের নন্দনকানন, শ্বেত ঐরাবত, উচ্চৈঃশ্রবাঃ অশ্ব। আপনার কামনা বাসনা পূরণের জন্য অষ্টাদশী মেনকা , উর্বশী, রম্ভা। পান পাত্র নিয়ে হাজির হবে কিঙ্কর- কিঙ্করী। গন্ধর্ব, কিন্নর চিরযৌবনা, দীর্ঘ নয়না, লাস্যময়ী, লাবণ্যময়ী, তন্বী, পিনবক্ষা, গুরু নিতম্বা রমণীগণ আপনার মনোহরণ করে রাখবে সব সময়। আপনি যাকে খুশি তার সাথে সুখ সাগরে নিমজ্জিত হতে পারবেন। এখানে কোন বাঁধা নেই। কোন সম্পর্কের বেড়ি নেই। আপনার পিতা যদি পূন্যবান হন তবে তিনিও আপনার সামনে স্বর্গীয় রমণীদের সাথে শারীরিক বিভঙ্গে লিপ্ত হবেন। আপনার মা পুণ্যবতী হলে তিনিও স্বর্গে এসে পানপাত্র হাতে নিয়ে আপনার সাথে যৌবনের জ্বালা নিভানোর জন্য আপনাকেই বেছে নিতে পারে। অথবা আপনার সামনে একাধিক স্বর্গবাসীর সাথে যৌনকেলীতে মেতে উঠতে পারেন!
আপনি স্বর্গে যেতে চান?
স্বর্গে পাঠাতে চান আপনার মা, বাবা, ভাই-বোন, সন্তান সন্ততিদের?
স্বর্গে যাবার প্রথম রাস্তাঃ
পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি ধর্মই মানুষের জন্য স্বর্গ বাসের ব্যবস্থা করেছে। আমি শুধু ব্রাহ্মণ ধর্মের ব্যবস্থাগুলি আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি। আপনি আপনার সাধ্য মত খাপ খাইয়ে নিন,ব্যবস্থা অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করুণ, নির্দেশ মত কাজ করুণ তবেই দেখবেন স্বর্গে যাবার ব্যবস্থা আপনার পাকা হয়ে গেছে। তবে একটি কথা প্রথমেই বলে রাখি যে স্বর্গে যাবার একেবারে প্রাথমিক শর্ত হল মৃত্যু। কঠিন হলেও এই শর্তটি আপনাকে পূরণ করতেই হবে। সশরীরে স্বর্গে যাবার রাস্তা আপনার জন্য খোলা নেই।
স্বর্গে যাবার দ্বিতীয় রাস্তাঃ
এই শ্রাদ্ধ ব্যপারটি আপনার মৃত্যুর পরে ঘটবে। আর একজন বামুন পুরুত এসে আপনার চোদ্দ পুরুষের আদ্যশ্রাদ্ধ করে আপনাকে স্বর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। এই বামুন আপনার বাড়িতে ঢুকে আপনার ছেলে মেয়েদের দাস (গোলাম) হিসেবে সম্বোধন করবে। তিনি জানাবেন যে আপনি মরে গিয়ে এখন প্রেতলোকে নানা জ্বালাযন্ত্রণায় ছটফট করছেন। আপনার বিদেহ আত্মা মুক্তির জন্য হাহাকার করে বেড়াচ্ছে। ব্রাহ্মণকে নানা প্রকার দান ধ্যান করলেই আপনার আত্মার শান্তি হবে এবং আপনার জন্য স্বর্গের দ্বার খুলে যাবে।
স্বর্গে যাবার তৃতীয় রাস্তাঃ
আদ্যশ্রাদ্ধের পরে বামুনকে ভোজন না করালে আপনার আত্মার স্থায়ী স্বর্গবাস হবেনা। আপনার ছেলেমেয়েদের এ কাজটি করতেই হবে। আপনি যদি কিছু পয়সা কড়ি রেখে আসেন তো ভাল, নতুবা সোনাদানা অথবা জমিজমা বিক্রি করেও এই ভোজন করাতেই হবে। যদি তারা শাকান্ন ভোজন করায় তো আপনার ৩ মাস স্বর্গ বাস হবে। যদি মাছ খাওয়ায় তবে ৬ মাস, যদি মোষের মাংস খাওয়ায় তবে ১০ মাস, যদি পাখির মাংস খাওয়ায় তবে ১ বছর, যদি গরুর মাংস খাওয়ায় তবে ১২ বছর, যদি কালশিরা মৃগ, গণ্ডার, লাল ছাগলের মাংসের সাথে মধু মিশ্রিত খাদ্য খাওয়ায় তবে অনন্ত কাল আপনার স্বর্গবাস হবে।
স্বর্গে যাবার চতুর্থ রাস্তাঃ
আজ্ঞ হ্যা এটিই বোধ হয় সব থেকে কঠিন এবং অন্তিম রাস্তা। একটি ভয়ঙ্কর বেগবান নদী বৈতরণী। পচারক্তমাংশে পরিপূর্ণ দুর্গন্ধযুক্ত ও ফুটন্ত জলের মধ্য দিয়ে একটি গরুর লেজ ধরে আপনাকে পার হতে হবে। আপনি যদি পূন্যবান হন পার হয়ে স্বর্গে যেতে পারবেন আর যদি পাপী হন তবে নির্ঘাত যমের দুয়ার নরক।
কি পাবেন স্বর্গে ?
দেখবেন চির বসন্তে প্রস্ফুটিত পারিজাত ফুলের নন্দনকানন, শ্বেত ঐরাবত, উচ্চৈঃশ্রবাঃ অশ্ব। আপনার কামনা বাসনা পূরণের জন্য অষ্টাদশী মেনকা , উর্বশী, রম্ভা। পান পাত্র নিয়ে হাজির হবে কিঙ্কর- কিঙ্করী। গন্ধর্ব, কিন্নর চিরযৌবনা, দীর্ঘ নয়না, লাস্যময়ী, লাবণ্যময়ী, তন্বী, পিনবক্ষা, গুরু নিতম্বা রমণীগণ আপনার মনোহরণ করে রাখবে সব সময়। আপনি যাকে খুশি তার সাথে সুখ সাগরে নিমজ্জিত হতে পারবেন। এখানে কোন বাঁধা নেই। কোন সম্পর্কের বেড়ি নেই। আপনার পিতা যদি পূন্যবান হন তবে তিনিও আপনার সামনে স্বর্গীয় রমণীদের সাথে শারীরিক বিভঙ্গে লিপ্ত হবেন। আপনার মা পুণ্যবতী হলে তিনিও স্বর্গে এসে পানপাত্র হাতে নিয়ে আপনার সাথে যৌবনের জ্বালা নিভানোর জন্য আপনাকেই বেছে নিতে পারে। অথবা আপনার সামনে একাধিক স্বর্গবাসীর সাথে যৌনকেলীতে মেতে উঠতে পারেন!
আপনি স্বর্গে যেতে চান?
স্বর্গে পাঠাতে চান আপনার মা, বাবা, ভাই-বোন, সন্তান সন্ততিদের?
No comments:
Post a Comment