ভূতে পাওয়ার বিষয়ডা বাংলায় এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছেল। ভুতে যারে পায় তার মুখে আকতা কুকতা কইতে বাধেনা। খাওনের ঠিক থাকে না। পরনের ঠিক থাকেনা। বকর বকরের ঠেলায় কান ঝালা পালা হইয়া যায়। তবে অরে ভুতে পাইছে বইল্যা মানুষ ক্ষেমা ঘেন্না কইর্যা নেয়।
কিন্তু সমস্যা হইলো গিয়া, ঘন ঘন ভুতে পাইলে মানুষরে আর ঘরে রাখা যায় না। পাগল হইয়া যায়। একটু বড় ঘরের হইলে পাগলডারে দড়ি দড়া দিয়া বাইধ্যা রা
খে। গরীব ঘরের হইলে রাস্তা ঘাটে বন বাদাড়ে ঘুইর্যা বেড়ায়।
কথায় বলে এই ভুত নাকি যারে তারে ধরতি পারে। পাতাকুড়োনি থিকা হাড়কুড়োনী, ঘুটেকুড়োনি থিকা রাজরানি বা আমলা থিকা মন্ত্রী। ভুতের ঝামেলা সর্বত্রগামী। আইজ্ঞা হ, এরকম ভুতের কাহিনী দিদিমা ঠাকুমাদের মুখে অনেক শুনছি। কিন্তু নিজের চোখে চাক্ষুষ করার সুযোগ হয় নাই। দেশ বিদেশের মিডিয়াদের কী ধন্যবাদ যে দেবো তার ভাষা খুইজ্যা পাচ্ছিনা। অদের কল্যাণে প্রতিদিন ভুত দেখছি। চাক্ষুষ করতি পারছি ভুতের কেত্তন। খোনা খোনা গলায় পেত্তেকদিন ভয় দেখাচ্ছে মানুষকে। রক্ত চোখ দেখাচ্ছে। ঘাড় মটকে রক্ত পিব বলছে। সাম্প্রতি কামদনীতে জ্যান্ত ভুতের তান্ডব দেইখ্যা বাংলার মানুষ একেবারে থ হইয়া গেছে। ভুতের সে কী বিকট গর্জন। "এই চোপ"
। প্রকাশ্যে, হাজার মানুষের সামনে ভুত দেখবার সুযোগ হল। হাড়কাপানো ভুতের ভাষা শোনার সুযোগ পাইলাম।
আজ্ঞে হ্, পেত্তেকদিন এমন দেখছি। পেত্তেকদিন এমন শুনছি!দেখছি আর নিজের থুতু নিজেই গিলছি!
আমার দিদিমার কইত যে ভুত ছাড়ানোর জন্যি আগে ওঝা,বদ্যি,গুণিন, কবিরাজ ডাকা হত। অগের কায়দাগুলো ছেল নাকি আজব আজব। ভুত ছাড়াতে যাবার আগে ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজরা নিজের আঁচালি ভাঙ্গাইয়া নেত। আঁচালি ভা
ঙানোর পরে ভুতেরা নাকি ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের বাধ্য গোলাম হইয়া যাত!আঁচালি ভাঙানো ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের আসার খবর পালি ভুতেরা নাকি কাবু হইয়া পড়তো!
আরে বাপরে কাবু না হইয়া যাবার উপায় আছ!ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের ঝাড়ন ঝোড়েনের এমন গুঁতো যে ভুত পালাবার রাস্তা পাতনা। ছোট খাটো ভুতেরা ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের গুরু বইলা মান্যা নেত। ঝামালে হত বেম্ম দত্যি বা বেম্ম পেত্নী হলি। জাতের অহঙ্কার বল্যা কতা। বেম্ম দত্যি বা বেম্ম পেত্নীরা ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের গুরু মানত না। ওদের ঝাড়তি গেলি ভুতেদের মুখে আকতা কুকতা বেশি শোনা যাত। এর জন্য ভুত আর ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের বাগযুদ্ধ। ভুত বেশি বেয়াড়া হ লি শুরু হত ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের আসল কায়দা। ভুত টারে গণ্ডী কাট্যা তার মধ্যি রাখা হত। পিঠমোড়া দিয়া বাধ্যা চলতো আড়ং ধোলাই। গাছের ডাল, ঝ্যাঁটা,পিছা,জুতা দিয়া ভুত ঝাড়াই শুরু হতো। নাকের মধ্যি ঢোকান হত হলুদ পোড়ানো ধুমা। দীর্ঘ ঝাড়াই পোছাইয়ের পর ভুত ক্লান্ত হইয়া পড়তো। পালাবার জন্যি রাজি হইয়া যাত। কিন্তু পালানোটাতো আর এমনি এমনি হতো না। চিহ্ন রাখ্যা যাতি হত। ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজরা ভুতকে বলত, " জুতা মুখে দিয়া পালা"।
বেম্ম দত্যি বা বেম্ম পেত্নী রাজি হতোনা। ওরা একটা জলের কলসি মুখে দিয়া বা একটা গাছের ডাল ভাইঙ্গা পালাতো। গেরামের মানুষ ভুত পলাইছে বল্যা হাঁপ ছাড়্যা বাঁচত।
বাংলায় ভুতের বাড়বান্ত দেইখ্যা আমার দিদিমার কথা খুব মনে পড়তিছে। দিদিমা কইতো আরে শালা আঁচালি ভাঙানি বোঝনা? আঁচালি ভাঙানি মানে হইল নিজেদের তৈরি করা। ভুত মোকাবিলার জন্যি সব অস্ত্র এক কাট্টা করা। এই অস্ত্র সস্ত্রে নিজেদের সাজাতি পারলি হাজার হাজার লোক জড়ো হবে ভুত তাড়োনো দেখতি। ওই জনবলের কাছে ভুত হার মানবে। অপদস্ত হইয়া পলাইয়া যাবে।
ভুত-বেম্ম দত্যি-বেম্ম পেত্নী তাড়ানোর জন্যি বাংলার আঁচালি ভাঙানি খুব দরকার এখন।
কিন্তু সমস্যা হইলো গিয়া, ঘন ঘন ভুতে পাইলে মানুষরে আর ঘরে রাখা যায় না। পাগল হইয়া যায়। একটু বড় ঘরের হইলে পাগলডারে দড়ি দড়া দিয়া বাইধ্যা রা
খে। গরীব ঘরের হইলে রাস্তা ঘাটে বন বাদাড়ে ঘুইর্যা বেড়ায়।
কথায় বলে এই ভুত নাকি যারে তারে ধরতি পারে। পাতাকুড়োনি থিকা হাড়কুড়োনী, ঘুটেকুড়োনি থিকা রাজরানি বা আমলা থিকা মন্ত্রী। ভুতের ঝামেলা সর্বত্রগামী। আইজ্ঞা হ, এরকম ভুতের কাহিনী দিদিমা ঠাকুমাদের মুখে অনেক শুনছি। কিন্তু নিজের চোখে চাক্ষুষ করার সুযোগ হয় নাই। দেশ বিদেশের মিডিয়াদের কী ধন্যবাদ যে দেবো তার ভাষা খুইজ্যা পাচ্ছিনা। অদের কল্যাণে প্রতিদিন ভুত দেখছি। চাক্ষুষ করতি পারছি ভুতের কেত্তন। খোনা খোনা গলায় পেত্তেকদিন ভয় দেখাচ্ছে মানুষকে। রক্ত চোখ দেখাচ্ছে। ঘাড় মটকে রক্ত পিব বলছে। সাম্প্রতি কামদনীতে জ্যান্ত ভুতের তান্ডব দেইখ্যা বাংলার মানুষ একেবারে থ হইয়া গেছে। ভুতের সে কী বিকট গর্জন। "এই চোপ"
। প্রকাশ্যে, হাজার মানুষের সামনে ভুত দেখবার সুযোগ হল। হাড়কাপানো ভুতের ভাষা শোনার সুযোগ পাইলাম।
আজ্ঞে হ্, পেত্তেকদিন এমন দেখছি। পেত্তেকদিন এমন শুনছি!দেখছি আর নিজের থুতু নিজেই গিলছি!
আমার দিদিমার কইত যে ভুত ছাড়ানোর জন্যি আগে ওঝা,বদ্যি,গুণিন, কবিরাজ ডাকা হত। অগের কায়দাগুলো ছেল নাকি আজব আজব। ভুত ছাড়াতে যাবার আগে ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজরা নিজের আঁচালি ভাঙ্গাইয়া নেত। আঁচালি ভা
ঙানোর পরে ভুতেরা নাকি ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের বাধ্য গোলাম হইয়া যাত!আঁচালি ভাঙানো ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের আসার খবর পালি ভুতেরা নাকি কাবু হইয়া পড়তো!
আরে বাপরে কাবু না হইয়া যাবার উপায় আছ!ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের ঝাড়ন ঝোড়েনের এমন গুঁতো যে ভুত পালাবার রাস্তা পাতনা। ছোট খাটো ভুতেরা ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের গুরু বইলা মান্যা নেত। ঝামালে হত বেম্ম দত্যি বা বেম্ম পেত্নী হলি। জাতের অহঙ্কার বল্যা কতা। বেম্ম দত্যি বা বেম্ম পেত্নীরা ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের গুরু মানত না। ওদের ঝাড়তি গেলি ভুতেদের মুখে আকতা কুকতা বেশি শোনা যাত। এর জন্য ভুত আর ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের বাগযুদ্ধ। ভুত বেশি বেয়াড়া হ লি শুরু হত ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজদের আসল কায়দা। ভুত টারে গণ্ডী কাট্যা তার মধ্যি রাখা হত। পিঠমোড়া দিয়া বাধ্যা চলতো আড়ং ধোলাই। গাছের ডাল, ঝ্যাঁটা,পিছা,জুতা দিয়া ভুত ঝাড়াই শুরু হতো। নাকের মধ্যি ঢোকান হত হলুদ পোড়ানো ধুমা। দীর্ঘ ঝাড়াই পোছাইয়ের পর ভুত ক্লান্ত হইয়া পড়তো। পালাবার জন্যি রাজি হইয়া যাত। কিন্তু পালানোটাতো আর এমনি এমনি হতো না। চিহ্ন রাখ্যা যাতি হত। ওঝা-বদ্যি-গুণিন-কবিরাজরা ভুতকে বলত, " জুতা মুখে দিয়া পালা"।
বেম্ম দত্যি বা বেম্ম পেত্নী রাজি হতোনা। ওরা একটা জলের কলসি মুখে দিয়া বা একটা গাছের ডাল ভাইঙ্গা পালাতো। গেরামের মানুষ ভুত পলাইছে বল্যা হাঁপ ছাড়্যা বাঁচত।
বাংলায় ভুতের বাড়বান্ত দেইখ্যা আমার দিদিমার কথা খুব মনে পড়তিছে। দিদিমা কইতো আরে শালা আঁচালি ভাঙানি বোঝনা? আঁচালি ভাঙানি মানে হইল নিজেদের তৈরি করা। ভুত মোকাবিলার জন্যি সব অস্ত্র এক কাট্টা করা। এই অস্ত্র সস্ত্রে নিজেদের সাজাতি পারলি হাজার হাজার লোক জড়ো হবে ভুত তাড়োনো দেখতি। ওই জনবলের কাছে ভুত হার মানবে। অপদস্ত হইয়া পলাইয়া যাবে।
ভুত-বেম্ম দত্যি-বেম্ম পেত্নী তাড়ানোর জন্যি বাংলার আঁচালি ভাঙানি খুব দরকার এখন।
ঠিক বলেছেন।
ReplyDeleteমুসলমান ফকিরেরাই বেশি ভুত ঝাড়ে। কুরানের আয়াত পড়ে ফু দিলেই ভূত গায়েব।
ReplyDelete