প্রশ্ন আসছে এইভাবে নৈরাজ্যের বাতাবরণ তৈরি করে কি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি ভারতের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাইছে? ধ্বংস করে দিতে চাইছে ভারতের সংবিধান?
বিজেপির সাংসদ সাক্ষী মহারাজের বয়ানে কিন্তু সেই রকমই সংকেতের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। তিনি ধর্ষক রামরহিমের পক্ষ নিয়ে এই দৈবপুরুষদের দ্বারা সাধ্বী বা নারিদের ধর্ষণ হওয়ার ঘটনাকে নৈতিক শিষ্টাচার বলে বর্ণনা করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি ধর্ষকের বিরুদ্ধে আনা আদালতের রায়কে খারিজ করারও দাবী জানিয়েছেন। অর্থাৎ ভারতীয় ন্যায়ের শাসনকে ধুলিস্যাত করে তিনি ব্রহ্মার বিধান বা বেদের বিধানকে মান্যতা দেবার সংকেত দিয়েছেন এবং হিন্দু নৈতিক শিষ্টাচারের কথা উত্থাপন করেছেন। সম্ভবত উদ্ভূত সঙ্কট কালে সাক্ষী মহারাজের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মন্য ধর্ম সংস্থাপনের একটি সুপ্রাচীন বার্তা।
কী এই নৈতিক শিষ্টাচার?
ভারতের একটি ন্যায়পালিকা একজন ধর্ষকের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করবেন এবং তার প্রাপ্য সাজা শোনাবেন এটাইতো নিয়ম। কিন্তু ন্যায়পালিকার সেই নিয়মকে ব্রাহ্মণ্য শিষ্টাচারের বিরুদ্ধে বলতে গেলেন কেন সাক্ষী মহারাজ? প্রশ্নটা এখানেই। কী সেই ব্রাহ্মণ্য শিষ্টাচার যা রামরহিমের মত দৈবপুরুষরা ধারণ করে আছেন? কি সেই অমোঘ ভিত্তি যা রামরহিমের মত ধর্ষকদের দৈব লীলার সাথে যুক্ত।
২০০২ সালে ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী মাননীয় অটলবিহারী বাজপায়ীকে লেখা পাঞ্জাবের এক সাধ্বীর চিঠিতে বোধ হয় এই প্রশ্নের খানিকটা উত্তর রয়েছে। সাধ্বী লিখেছেন, “আমি পঞ্জাব থেকে আসা মেয়ে। সিরসা (হরিয়ানা)-র ডেরা সচ্চা সৌদায় একজন সাধ্বী হিসেবে সেবা করে চলেছি গত ৫ বছর ধরে । আমার মতো আরও কয়েকশো মেয়ে এখানে রয়েছেন, যাঁরা প্রতি দিন ১৮ ঘণ্টা করে সেবা করে চলেছেন।
কিন্তু এখানে আমরা যৌন নির্যাতনের শিকার। ডেরায় মেয়েদের ধর্ষণ করেন ডেরা মহারাজ (গুরমিত সিংহ)। আমি একজন স্নাতক। ডেরা মহারাজের উপরে আমার পরিবারের অন্ধ বিশ্বাস। পরিবারের সেই অন্ধবিশ্বাসের জেরেই আজ আমি একজন সাধ্বী। সাধ্বী হওয়ার বছর দুয়েক পর এক দিন রাত ১০টা নাগাদ হঠাৎ এক মহিলা ভক্ত আমার ঘরে আসেন। জানান, মহারাজ আমাকে ডেকেছেন। মহারাজ স্বয়ং ডেকে পাঠিয়েছেন শুনে খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলাম। সাধ্বী হওয়ার পর সেটাই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে তাঁর ঘরে ঢুকি। দেখলাম ওনার হাতে একটা রিমোট এবং টিভিতে তিনি ব্লু ফিল্ম দেখছেন। বিছানায় তাঁর বালিশের পাশে একটা পিস্তল রাখা ছিল। এ সব দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। এর পর মহারাজ টিভিটা বন্ধ করে দেন। আমাকে ঠিক তাঁর পাশে নিয়ে গিয়ে বসান। খাওয়ার জন্য এক গ্লাস জল দেন। তার পর খুব আস্তে করে বলেন, ডেকে পাঠানোর কারণ আমাকে তিনি নিজের খুব কাছের বলে মনে করেন। এটাই ছিল আমার প্রথম অভিজ্ঞতা।
এর পরই তিনি এক হাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে তাঁর আরও কাছে টেনে নেন। কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলেন, আমাকে তিনি হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসেন। আমার সঙ্গে সহবাস করতে চান। বলেন, তাঁর শিষ্যা হওয়ার সময়ই আমার সমস্ত সম্পদ, আমার শরীর এবং আত্মা তাঁর কাছে উৎসর্গ করেছি এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বর, এতে তো কোনও সন্দেহ নেই’। আমি তাঁকে বলি, ঈশ্বর কখনও এ রকম করেন না। আমাকে বাধা দিয়ে তিনি বলেন:
১) শ্রীকৃষ্ণও ঈশ্বর। তাঁর ৩৬০ জন গোপী ছিলেন। যাঁদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ প্রেমলীলা করতেন। আমাকেও সবাই ঈশ্বর বলে মানে। এতে এত অবাক হওয়ার কিছু নেই”। ( রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাধ্বীর সেই চিঠি, পড়লে শিউরে উঠবেন ঃ নিজস্ব প্রতিবেদন, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৬ অগস্ট, ২০১৭, ১৩:৪৫:৫৬)।
হ্যা, এটাই দৈবপুরুষদের লীলা এবং বেদের শিষ্টাচার এই লীলাকেই মান্যতা দিয়েছে। ঋকের একেবারে প্রথম দিকের শ্লোক বা গায়ত্রীর মন্ত্র (Mandala 3.62.10) বা বীর্যমন্ত্র। গায়ত্রীকে ভাষাতাত্ত্বিক ভাবে বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারা যায় যে পরাজিত দেশের সব নারী এবং অনুঢ়া মেয়রা (যস্যবিতুবরেন্যায়ম ভর্গোদেবস্যধীমোহি। ধীয়োযোনা প্রচোদায়ত।) যাদের রাজার মৃত্যু হয়েছে এবং ন্যায়ের শাসন ধ্বংস হয়ে গেছে তারা দেবতাদের ভোগ্য হবে। অথবা যে রাজা নিঃসন্তান তিনি পুত্রকামষ্ঠী যজ্ঞের মাধ্যমে দেবপুরুষ বা ঋষিদের দ্বারা নিজ পত্নীগণের গর্ভে সন্তান উৎপাদন করতে পারবেন।
বেদের এই পারম্পরিক শিষ্টাচারের রাজসূয় ব্যবস্থা দেখা যায় রামায়ণের বালকাণ্ডে। যেখানে নিঃসন্তান রাজা দশরথ ঋষ্যশৃঙ্গ নামক দেবপুরুষকে দিয়ে নিজের চার পত্নীর গর্ভে সন্তান উৎপাদন করেন। বেদধ্যয়নরত বৈদিক ঋষিদের স্ত্রীসহবাস সুখ অবগত করার জন্য পরমাসুন্দরী রমণী বা বরাঙ্গনাদের সহযোগিতা নেওয়া হত তাও বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে রামায়ণের বালকান্ডে।
মহাভারতেও একই ভাবে ঋষিক্রিয়ার এই বৈদিক শিষ্টাচার আমরা দেখতে পাই আদিপর্বে। বিচিত্রবীর্যের অকাল মৃত্যু হলে মা সত্যবতী ভাইয়ের পরমাসুন্দরী স্ত্রীদের গর্ভে ভীষ্মকে সন্তান উৎপাদন করে পিতার বংশ রক্ষা করার অনুমতি দেন। ভীষ্ম দারপরিগ্রহ না করার পূর্ব সংকল্প হেতু সত্যবতীর এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন কিন্তু ক্ষেত্রজ উৎপাদনের বৈদিক দৃষ্টান্তের ব্যাখ্যা করে কোন ব্রাহ্মণ বা ঋষির দ্বারা ভাইয়ের স্ত্রীদের গর্ভে সন্তান উৎপাদনের আদেশ দেন। ভীষ্ম আরো বলেন যে এই ক্ষেত্রজ গ্রহণ ধর্মানুবদ্ধ, অর্থানুবদ্ধ এবং কামানুবদ্ধ।
এরপর মা সত্যবতী দৈবপুরুষ ঋষি ব্যাসকে দিয়ে তার পুত্রবধূদের নিষিক্ত করেন। অম্বিকার গর্ভে ধৃতরাষ্ট্র এবং অম্বালিকার গর্ভে পা্রেন্র জন্ম হয়। মা সত্যবতী নিজের দাসীকেও ব্যাসদেবের দ্বারা নিষিক্ত করেন এবং সেই দাসী বিদুর নামে এক বুদ্ধিমান, জ্ঞানী পুত্রের জন্ম দেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে মা সত্যবতীও যৌবনে পরাসর নামে এক ঋষির কামনার শিকার হয়ে দীপের মধ্যে একটি সন্তানের জন্ম দেন। যে সন্তান ছিলেন ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। কৃষ্ণবর্ণ শরীর এবং দীপে জন্মানো এই সন্তান বেদভ্যাসের দ্বারা মহাপাণ্ডিত্য অর্জন করেন; তাই তার নাম হয় কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস। আর এই বেদব্যাসের জন্মদাত্রী ধর্ষিতা মায়ের নাম ছিল মৎসগন্ধা।ভীষ্মের পিতা শান্তনু তাকে বিয়ে করেন। রাজমহিষী হিসেবে তার নাম হয় সত্যবতী।
ঋষিক্রিয়া বা ঋষভ ক্রিয়ার উৎপত্তিঃ
বাজারে ধর্মের ষাঁড় ছেড়ে দেবার একটা লোকায়ত প্রথা আছে। নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভিতর এইসব ষাঁড়েরা ঋতুবতী গাভীদের নিষিক্ত করে। কৃষিজীবী মানুষেরা উন্নতমানের গোকুল বাড়ানোর জন্য সহমতের ভিত্তিতে এটা করে থাকতো এক কালে। বিনিময়ে ষাঁড় পেত অবারিত মাঠ। যত্র তত্র বিচরণের অবাধ ছাড়ত্র। ঋতুবতী গাভীদের সঙ্গে সহবাসের অধিকার। এখনো কৃষি প্রধান এলাকার এটাই প্রচলিত প্রজনন বিদ্যা। ঋতুবতী গাভীদের ডিম্বাণুর সাথে ধর্মের ষাঁড়দের শুক্রাণুর নিষিক্ত করণের এই ক্রিয়া প্রক্রিয়াকে ঋষি ক্রিয়া বলতে পারেন। তাই সংস্কৃত ভাষায় নির্দিষ্ট গোয়ালহীন ধর্মের ষাঁড়দের ঋষভ বলা হয়।
ভারতীয় জনপুঞ্জের এই লোকায়ত বিদ্যাটিকে বৈদিক যাযাবরেরা গভীর ভাবে অধ্যায়ন করে। আত্মস্থ্য করে এবং তাদের সামাজিক আচারের সাথে একেবারে অঙ্গীভূত করে নেয় এবং উন্নত মানবকুল বাড়ানোর জন্য ব্যভিচারে সম্মত ও সামর্থ মানুষকে ঋষি ক্রিয়াতে উদ্বুদ্ধ করে ময়দানে নামায়। পাশাপাশি ভরণ পোষণের নৈবেদ্য জুটতে থাকে লোকালয় থেকে। লোকালয়ের থেকে দূরে এই সব ঋষিগণ যখন যেমন খুশি যার তার সাথে যৌনাচারের স্বীকৃতি পায়।
ঋষভ ক্রিয়া ধর্মানুবদ্ধঃ
এই যে ঋষিক্রিয়া বা যৌনাচার বৈদিক সমাজে এমন এক উচ্চ শিষ্টাচারে পউছেছিল যে পাত্রী নির্বাচনে বৈদিক ঋষিদের মা,মাসি, কন্যা, ভাই, বোন বলে কোন বাদবিচার ছিল না বরং এই যৌনাচারকে ধর্ম সম্মত করে নানা শাস্ত্র প্রণয়ন করে। বৈদিক শাস্ত্রেই দেখা যায় যে, ব্রাহ্মণদের আদিপিতা ব্রহ্মা তার নিজের মেয়ে সরস্বতীকে ধর্ষণ করছে, এবং তার গর্ভে গর্ভ সঞ্চার করছে। সরস্বতী এবং ব্রহ্মার সন্তান স্বয়ম্ভূ মনু তার নিজের মা সরস্বতীর(শতরূপা ) সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে, সন্তান উৎপাদন করছে।
“Saraswati Purana”. One is that Brahma created his beautiful daughter Saraswati direct from his “vital
strength” or seminal fluid. The other is that Brahma used to collect his semen in a pot whenever he masturbated fixing his carnal eyes on the celestial beauty Urvasi. Brahma’s semen in the pot gave birth to Saraswati. Thus,Saraswati had no mother.
This daughter or grand-daughter of Brahma is the Hindu goddess of learning. When Brahma saw the beauty of Saraswati he became amorous. To escape from her father’s passionate approach Saraswati ran to the lands in all four directions, but she could not escape from her father. She succumbed to Brahma’s wish. Brahma and his daughter Saraswati lived as husband and wife indulging in incest for 100 years. They had a son Swayambhumaru. Swayambhumaru made love with his sister Satarpa. Through the incest of Brahma’s son and daughter Brahma got two grandsons and two grand-daughters.
আর একটি সূত্র হলঃ
“Prajapati(Brahma) desired his daughter( SARASWATI) and made love to her. This was a sin in the eyes of the gods, who said to the god who rules over beasts [Pasupati, Rudra], ‘He commits a sin, acting in this way towards his own daughter, our sister. Pierce him.’ Rudra took aim and pierced him. Half his seed fell to the ground. The gods cured Prajapati and cut out Rudra’s dart, for Prajapati is the sacrifice. To utilize [the seed], the gods said, ‘Take care that this may not be lost, but that it may be less than the oblation.’ They gave it to Bhaga to eat, but it burnt his eyes and he became blind. Then they gave it to Pusan to eat, but it knocked out his teeth. At last they gave it to Savitr [the sun] and it did not injure him, for he appeased it.” — Ref : Satapatha Brahmana 1:7:4:1-7.
বৈদিক এই শিষ্টাচার বা যৌন সংস্কৃতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, একজন ঋষি যৌনাচারে লিপ্ত হলে অন্যজন কুকুরের মতো অপেক্ষা করতো বা দলবদ্ধ ভাবে যৌনাচারে লিপ্ত হত।
অনেক নারী কোলের থেকে বাচ্চা নামিয়ে রেখে ঋষির যৌন ক্ষুধা মেটাতে বাধ্য হত। এমনি এক ঘটনার শিকার হয়েছিল যাজ্ঞবল্ক। ধর্ষিতা যবালা পুত্র সত্যকাম তো তার বাপের নামই বলতে পারেনি! এই ধর্মাচার এমন মহান হয়ে উঠেছিল যে, রাজারা পুত্র কামনার জন্য এই সব ঋষিদের ভাড়া করে রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন করে তাদের স্ত্রীদের গর্ভে ঋষিদের বীর্য পাত ঘটিয়ে তেজস্বী সন্তান উৎপাদন করতেন।
এই ঋষভ ক্রিয়া বা মহাযজ্ঞ বৈদিক যাযাবরদের ধর্মাচরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। উন্নত মানবকুল বাড়ানো বীজমন্ত্র। ঋষি সংস্কৃতির আদি নাদ।
বিবর্তনের সাথে সাথে এই ঋষভ সংস্কৃতি জনগণের মধ্যেও প্রথিত করতে সামর্থ হয়েছিল বৈদিক যাযাবরেরা। স্থায়ী ভাবেগোটা ভারতকেই ঋষিদের চারণভূমিতে পরিণত করতে পেরেছিল এই বৃত্যিজীবিরা।
বৌদ্ধ বিহারগুলি দখল করে সেগুলিকে মন্দিরে পরিণত করা (মন্দির = মন্দ+ইর বা মন্দ কামনা বাসনা চরিতার্থ করার সুরক্ষিত স্থান।)পরিণত করা,মন্দিরের মধ্যে দেবদাসী প্রথার প্রবর্তন,মন্দির সংলগ্ন এলাকাকে বেশ্যা পল্লী বানানো, গুরুকরণী প্রথার নামে কিশোরীদের দিনের পর দিন ধর্ষণ করা,কুল রক্ষার নামে বহু বিবাহ চালিয়ে যাওয়া, এ সকলই ঋষভ সংস্কৃতির গলিত দুর্গন্ধময় বর্জ্য। বৈদিক যাযাবরদের ঈশ্বর,দেব, দেবী বা ঋষিদের একালের বংশধর রজনিস, সাইবাবা, বাবা নিত্যানন্দ, রবিশঙ্কর, রামদেব এই বর্জ্য পদার্থের কারবারী।
এই গুরমিত সিং রামরহিম, আশারামেরা একালে ধর্মের ষাঁড়। বর্তমানের দৈবপুরুষ যৌনাচারী প্রাচীন ঋষভ ধারাকেই এরা বেগবান করে তুলেছে। বৈদ্যুতিন মাধ্যমের দ্বারা প্রতিদিন চলছে প্রস্তুতি। ধর্ষণের প্রস্তুতি। ধ্বংসে প্রস্তুতি। রামরহিমকে ধর্ষক হিসেবে সাব্যস্ত করার পর পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা জুড়ে যে তান্ডব দেখা গেল তা পরিকল্পিত মহাপ্রলয়ের একটি মহড়া মাত্র। মনুবাদীরা নিরঙ্কুশ ভাবে ভারতের প্রত্যেক প্রদেশে ক্ষ্মতায় আসলে এই ভয়ঙ্কর প্রলয় নেমে আসবে। আর সেই প্রলয়ের মধ্য দিয়েই ধর্ম সংস্থাপন করতে নেমে আসবেন আর এক অবতার।