Pages

Friday, 14 November 2014

উদারীকরণ গণতন্ত্রের সবথেকে বড় বিপদঃ


বাজারি অর্থনীতির হাত ধরে গোটা বিশ্ব এখন কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের হাতের মুঠোর মধ্যে এসে পড়েছে। অর্থাৎ এই মুষ্টিমেয় মানুষের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপরই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে গোটা বিশ্বের মানুষের ভবিষ্যৎ। এরাই নিয়ন্ত্রন করছে রাষ্ট্র। এরাই লালন-পালন ও ধ্বংসের সর্বময় কর্তা হয়ে উঠেছে। এরাই চালক, এরাই নিয়ন্ত্রক। এদের মর্জির উপরই নির্ভর করেই হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির উত্থান ও পতন। অর্থাৎ আর্থিক সংস্কারের ও উদারীকরণের এই বাজারমুখী প্রবণতা গণতন্ত্রকেই শিকেয় তুলে ছাড়ছে। মানুষের হাতের সম্পদ বাজারপ্রভুদের চকচকে মোড়কে পাইকেরি হারে বিক্রি হচ্ছে ভুবনডাঙার খোলা হাটে।

উদারনৈতিক এই বাজারি দর্শনই গণতন্ত্রের এখন সবথেকে বড় বিপদ। বিগত কয়েক দশক ধরে সর্বময় প্রভুদের এই বাজারি দর্শন ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রকে পিষে ফেলে কায়েমীতন্ত্রে পরিণত করে ফেলেছে। এতে পুঁজির বাড়বাড়ন্ত হলেও গণতন্ত্রের যে আসল ভিত্তি ও উপভোক্তা “জনগণ” তারাই অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতি গণতন্ত্রের অন্যতম পীঠস্থান আমেরিকার ১৮০০টি পলিসির উপর একটি অনন্য গবেষণার থেকে এমনি তথ্য পাওয়া গেছে যে শীঘ্রই অ্যামেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে কায়েমীতন্ত্র শুরু হবে। ১৯৮১ থেকে ২০০২ সংগৃহীত এই তথ্যগুলি থেকে জানা যাচ্ছে যে অ্যামেরিকার কতিপয় সংগঠিত এলিট সম্প্রদায়ের লাভালাভের ভিত্তিতেই সেখানকার সরকারি পলিসিগুলি নির্ধারণ করা হয় যেখানে বিপুল জনসংখ্যার কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। গবেষক মার্টিন ও বেঞ্জামিন এই রিপোর্টে উল্লেখ করেন যে এই সময়ের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টি বা ডেমোক্রেটিক পার্টি যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই কতিপয় এলিট সমাজই রাষ্ট্রের ৯০শতাংশ পলিসির নিয়ন্ত্রক। গবেষণা পত্রের মূল্যায়নে তাই তারা অ্যামেরিকায় গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মুষ্টিমেয় বিত্তশালীর হাতে এভাবে ক্ষমতা পুঞ্জীভূত হওয়ার কারণে ব্যাপক মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল অকুপাই ওয়াল ষ্ট্রীটের আন্দোলনের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের ভাগিদারী যে ভাবে সংকুচিত হয়েছে এবং সমস্ত ক্ষমতা ও সম্পদ যেভাবে অল্প কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে অকুপাই ওয়াল ষ্ট্রীটের আন্দোলন তার প্রতি অনাস্থাই ব্যক্ত করেছিল। এই অনাস্থার তীব্র প্রতিবাদ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্সকেও প্রভাবিত করেছিল। আন্দোলনকর্মীরা সহস্র বাঁধা অতিক্রম করে বালিতে গিয়েও বাজার প্রভূদের তীব্র ধিক্কার জানিয়েছিল।

যে পুঁজিবাদ বা উদারীকরণের নীতির ফলে অ্যামেরিকার গণতন্ত্র আজ খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং যে মুহূর্তে অ্যামেরিকার জনগণ গণতন্ত্রের রক্ষার জন্য চিন্তিত ঠিক সেই মুহূর্তে ভারতবর্ষকে ভূবনডাঙার পাইকেরি বাজারে তুলে দেবার জন্য তুরিভেরি বাজিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। সমীকরণ সেই একটিই। রাজনীতিতে ভারতীয় বিত্তশালীদের প্রভাব বিস্তার করা। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্য দিয়ে বাজারের উপযুক্ত পলিসি তৈরি করা এবং জনগণের প্রভাবকে সংকুচিত করে সমস্ত সম্পদের উপর নিজেদের দখলদারী প্রতিষ্ঠিত করা। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স সহ অন্যান্য বাজারপ্রভূদের সাথে তার যে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এবং যে ভাবে বিশ্ববাজারিরা ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছে তাতে অচিরেই ভারতবর্ষে অ্যামেরিকা সিন্ড্রোম তৈরি হবে। পণ্যমূল্যে নির্ধারিত হবে ভারতীয় মূল্যবোধ। আর এই মূল্যবোধের নিরিখেই “শাইনিং ইন্ডিয়া”র রূপান্তর ঘটবে “স্বচ্ছ ভারতে”।

Sunday, 2 November 2014

কবীর সুমনের “মমতা ব্যানার্জী বাচাও অভিযান”ঃ


বর্ধমান কান্ডে এনআইএ বা এনএসজি যে গুরুত্ব দেখিয়েছে বা তদন্তের হাল হকিকত যে ভাবে যে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে  দেশকে,   সমাজকে একটি  পরিকল্পিত খাতে প্রবাহিত করার জন্য বা বিশেষ কোন রাজনৈতিক উত্থানের জন্যই এগোলো ব্যবহার করা হচ্ছে।       
একদা তৃণমূলী সাংসদ কবির সুমন কিন্তু তেমনি মনে করছেন। সাম্প্রতিক এক সাংবাদিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবী  করেছেন যে এই সন্ত্রাসবাদের আবহাওয়া একটি পরিকল্পিত ঘটনা এবং যে ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের সমস্ত মুসলমানের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। তিনি এটাও দাবী করেছেন যে বর্তমান কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার এবং তাদের জন্মদাতা  সংগঠন আরএসএস পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনৈতিক ভাবেই এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি এও মনে করেন যে এই আরএসএস বা বিজেপিকে আটকানোর একমাত্র ক্ষমতা রাখেন মমতা ব্যানার্জী এবং জয়ললিতার মত কতিপয় জননেত্রীরা। এরপর মাননীয় কবীর সুমন মহাশয় ভারতবর্ষের আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জগতে মুসলিমদের অবদানের কথা বর্ণনা করে আক্ষেপ করেছেন যে তথাকথিত স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৬৫ বছর ধরে ভারতবর্ষের মুসলিম সমাজ চরম বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে। মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার  জন্য মমতা ব্যানার্জীর অবদানকেও তিনি প্রশংসা করতে ভোলেননি।

এতে প্রবল হাততালি কুড়িয়েছেনতো তিন। একেবারে খাঁদের কিনারায় দাঁড়িয়ে নিশ্চিত পতনের থেকে নিজেকে খানিকটা সামলে নিতে পেরেছেন এবং মমতা ব্যানার্জীর প্রতি তাঁর আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে ভাঙ্গা সেতু খানিকটা মেরামত করে নিয়েছেন। তা তিনি করুন, কেননা বাঁচার অধিকার সকলের আছে। সংবিধানে এটি একটি মৌলিক অধিকার এবং সেই অধিকার অর্জনের জন্য তার আকুতি অগ্রাহ্য করার নয়।
কিন্তু কথা হল সুমনবাবু কেন ঠিক এই সময় এ হেন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন? বলা ভাল কোন প্রবল আবেগ তাকে এই ভূমিকা গ্রহণ করতে উৎসাহিত  করল? যখন চিটফান্ডগুলির সাথে মমতা ব্যানর্জীর দলের সরাসরি যোগাযোগ নিয়ে অভিযোগ উঠছে। জড়িয়ে পড়ছে তাবড় তাবড় নেতানেত্রী। ইডি বা সিবিআইকে  এড়ানোর জন্য মন্ত্রীরা পালা করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আশ্রয় নিচ্ছেন নার্সিংহোমে। মানুষের সলিল সমাধি নিশ্চিত করার পর শ্যামল সেন কমিশন যখন ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছেন। মমতা ব্যানার্জী মুখে কুলুপ এঁটে বসেছেন এবং যে মুহূর্তে সারদার টাকা তাঁর দলের সাংসদের মাধ্যমে দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীদের  হাতে পৌঁছে যাবার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। মমতা ব্যানারর্জীর হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নাকের ডগায় বসে যখন জামাত-উল-মুজাহিদিন (জুম) পশ্চিমবঙ্গকে তাদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করে ফেলে অবাধে সন্ত্রাসবাদী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে খতম করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মাটি ব্যবহার করছে। হত্যা, ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতে লিপ্ত হয়েছে। আর এ সমস্ত কিছুর পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ মদতদাতা হিসেবে নবান্নের সর্বোচ্চ চেয়ারটির দিকে আঙুল উঠছে  ঠিক সেই মুহূর্তে কবীর সুমনের এই বিশুদ্ধ ভাষণ নিশ্চয়ই তাৎপর্য পূর্ণ।  তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে তিনি সুমন চট্টপাধ্যায় থেকে এখন কবীর সুমন। কুলীন থেকে কবীর জোলার সমগোত্রীয় এবং তিনি ধর্মান্তরিত মুসলমান হলেও সেকুলার বাংলার প্রতিবাদী মুখ।  সগোত্রীয় সহযাত্রীর দুঃসময়ে তাঁর হয়ে উচিৎ ভাষণকে তিনি কর্তব্য বলে মেনে নিয়েছেন। একদা যেভাবে তিনি “তারা নিউজের” একজন সাংবাদিক, অনুষ্ঠান পরিচালক হিসবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পালে প্রবল হাওয়া তোলার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। গীটারের সুরঝংকারে মহিমান্বিত করে তুলেছিলেন মমতা ব্যানার্জীর আমরণ অনশন।
সুমনবাবু কবি মানুষ। আবেগ কবিতার প্রধান উৎস। এক্ষেত্রেও হয়ত কোন নিশ্চিত কারণে তাঁর বিবেক ও আবেগ প্রবলতর হয়ে উঠেছিল। তাই তিনি স্বভাব সুলভ আবেগের উপর আস্থা রেখে কর্তব্যশীল হয়ে উঠেছিলেন।        

কিন্তু এই আবেগী অভিভাষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন আগেও ছিল। বিশেষত যখন সুমনবাবু ছত্রধর মাহাতোর নির্বাচনের প্রচার করার ইচ্ছা থাকলেও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকার জন্য প্রচার করতে পারলেন না বলে দুঃখ করেছিলেন। টুইট করেছিলেন। ভুল হয়েছে বলে মেনে নিয়েছিলেন। অনেকে তা তির্যক ভাবে দেখেছিলেন এবং তাঁর প্রতি কদর্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন।  এবার বোধ হয় তিনি ভুল শুধরে নিলেন। ছত্রধরের বেলায় না পারলেও মমতা ব্যানার্জীর বেলায় তিনি ভুল শুধরে নিতে পিছপা হলেন না। একক ভাবেই মমতা ব্যানর্জীর দক্ষতা ও সততা তুলে ধরার চেষ্টা করলেন জনগণের সামনে। প্রমান করতে চাইলেন যে মমতা ব্যানার্জী গঙ্গাজলের মত পবিত্র এবং তিনি রাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান আতঙ্কবাদীদের আটকানোর রাখেন।

কিন্তু রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে, নীতি নির্ধারণ ও রুপায়নের ক্ষেত্রে কোন কোন খামতি ও সংযোগ থাকলে জালিয়াতরা, আতঙ্কবাদীরা,  বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, মৌলবাদীরা ও দেশদ্রোহীরা রাজ্যে নিশ্চিত ভাবে জমি পেয়ে যায় তা একবার ও উল্লেখ করলেন না। যে যে মডিউল গুলির মাধ্যমে পরিবর্তনের পালা সূচীত হয়েছিল, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজ্য পরিচালনার জন্য যে যে মডিউলগুলি  নেওয়া হয়েছে তার অনিবার্য পরিণতিই যে আর্থিক দুর্নীতি, অপশাসন, মানবাধিকারের চরম অবমাননা, সাম্প্রদায়িক হানাহানি এবং সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে তা বললেন না। তিনি এও বললেন না যে রাজ্যের এই শোচনীয় পরিণতির দায় মমতা ব্যানার্জীর উপরই বর্তায় কেননা তিনিই রাজ্যের প্রধান পরিকল্পক, পরিচালক, নীতি নির্ধারক এবং রূপায়ক। কোন ভাবেই মমতা ব্যানার্জী এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
 সুমন বাবু বোধহয় এসবই জানেন এবং জেনে বুঝেই যা বলার বলেছেন। লোকে যতটাই তাকে ভাবুক, খেয়ালী বা আবেগ প্রবন বলুন না কেন তিন কিন্তু যথেষ্ট কান্ডজ্ঞানী দ্রষ্টা। হয়ত তিনি লক্ষ্য করছেন যে সারদা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মডিউল “সন্ত্রাসবাদ” যে ভাবে প্রকাশ্যে এসে গেছে তাতে মুসলিম সমাজের দিকে আঙুল উঠবে। মুসলিম সমাজ বিভাজিত হয়ে পড়বে। তারা নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে জড়িয়ে পড়বে। সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সম্ভাবনা প্রকট হবে। মুসলিমদের সাথে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের দূরত্ব বাড়বে। লাশ পড়বে। গ্রাম জ্বলবে। মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হবে এবং এই অসহায়, আতঙ্কিত, নিরন্ন মুসলিমদের বরাভয় দেবার জন্য বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই মহতি রাজনৈতিক প্রচেষ্টায় বিজেপি তার আজন্ম মুসলিম বিদ্বেষী দুর্নাম খানিকটা ঝেড়ে ফেলতে পারবে। ২৮% মুসলিম জনগণের ১০% নিজেদের পকেটে পুরতে পারলেই যথেষ্ট। শাসক শ্রেণির মক ফাইটের জন্য কিছু সাধারণ মানুষের কুর্বানি হলেও উজ্জ্বল ভারতের জন্য, স্বচ্ছ  ভারতের জন্য কেল্লা ফতে।

কিন্তু এই মডিউলের সবথেকে বড় ঝুঁকি হল মমতাদেবীর জড়িয়ে পড়া। কারণ পশ্চিমবঙ্গের তিনিই বর্তমান প্রযোজক এবং পরিচালক। যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও তার ঘাড়ে। পশ্চিমবঙ্গের আপামর জনসাধারণ বিশেষ করে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে রাখা মানুষগুলি যদি শাসক শ্রেনীর এই মক ফাইটের কৌশল বুঝে ফেলে তবে বিপদ! ফলে গোলক ধাঁধার বাতাবরণ তৈরি করার জন্য এক সম্মোহনী কলাকার। যিনি সুরঝংকারে মানুষকে বশীভূত করতে পারেন। দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে পারেন এবং সেই ফাঁকে সগোত্রীয় সহযাত্রীকে কলঙ্কের পঙ্ক থেকে উদ্ধার করতে পারেন। মাননীয় কবীর সুমনের এই সুভাষিত সুকথন আসলে “মমতা ব্যানার্জী   বাচাও” অভিযানের নবতম সংযোজন।